জবরদখলকারীদের কাছে বসতভিটা হারিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রবাসী জেবু
১৬ জানুয়ারি ২০১৬, ২২:৫৩
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দুদক ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের সাহায্য কামনা
ওসমানী নগরের কচপুরাই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেবু বেগম চৌধুরীর অবর্তমানে তার পৈতৃক বসতভিটা জবর দখল করে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার শর্তে দখলমুক্ত করে দেওয়ার প্রস্তাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেবু বেগম চৌধুরী। দীর্ঘদিন পর সন্তানদের নিয়ে বাড়ী ফিরে নিজের বসত ভিটায় ঠাই পাননি তিনি। মিথ্যা অপপ্রচার আর নির্যাতন করে সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালীরা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে দিশেহারা হয়ে আত্মীয় স্বজনের বাসায় বাসায় জীবন যাপন করে যাচ্ছেন।
৫ জানুুয়ারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ওসমানী নগর থনায় মামলা দায়ের করলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আসামীরা রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মামলার আসামীরা হলেন কচপুরাই গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩৮), ফখরুল ইসলাম (৫০), নজরুল ইসলাম (৩২), জাবেল মিয়া (৩০), ফারজানা বেগম (২৮), সাজনা বেগম (২৪), মিফতা মিয়া (৫০), জুয়েল মিয়া (২৩), রোকেয়া বেগম (৪২), মিনারা বেগম (৫২), তাহমিনা বেগম (২৪), নাজমিন বেগম (২৯)। মামলা (নং-০২/০২)। কয়েকদিন পূর্বে জেবু চৌধুরী বাংলাদেশে তার প্রতি অমানবিক আচরণের বিষয়টি তুলে ধরে সিলেটে সংবাদ সম্মেলনও করে ছিলেন। বর্তমানে তার প্রতিপক্ষ মিফতার মেয়ে রোকশানা বেগমের অপপ্রচার ও সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বাধ্য হয়ে বৃটিশ হাই কমিশনের সরণাপন্ন হয়েছেন। জেবু বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন।
তাছাড়া প্রবাসী কল্যাণ সেল, দূর্নীতি দমন কমিশনেরও সহায়তা চেয়েছেন তিনি। জেবুর দাবি সম্পূর্ণ পেশীশক্তি আর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিফতা ও রোকশানা গংরা তার বসতবাড়ী ও পরিত্যক্ত জায়গা দখল করে রেখেছেন।
জেবু বেগমের দাবি মিফতা তার নিকটাত্মাীয় নয়। জেবু বেগম চৌধুরী পরিবারে সহায় সম্পত্তি গ্র্রাস করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। জেবু বেগম চৌধুরী মৃত নফিছ চৌধরীর একমাত্র উত্তরাধিকারী সন্তান। মিফতার পিতার নাম ফজলু মিয়া। মিফতার ৮/১০ বছর বয়সকালে তাকে সঙ্গে নিয়ে তার মা জনৈক ফজলু মিয়ার কাছে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর ফজলু মারা গেলে জেবুর বাড়ীতে কাজ করার সুবাদে জেবুর মা যখন মারা যান তখন নফিছ চৌধুরী সাথে মিফতার মায়ের বিয়ে হয়। এসময় পূবের স্বামীর ঔরসজাত সন্তান মিফতাও তার মায়ের সাথে ছিলো। জেবু চৌধুরীর পিতার ঔরসজাত সন্তান নয় মিফতা। কিন্তু অন্য জনের সন্তানকে মৃত নফিছ উল্লাহর ছেলে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। নিজেদের চৌধুরী পরিবার বলে দাবি করছেন। নফিছ মিয়ার একমাত্র মেয়ে জেবু চৌধুরীর সৎ ভাই ফজলু মিয়ার ছেলে মিফতা হয় কিভাবে। মিফতার পরিবারের কোন জায়গা জমি নেই। মিফতা ডাকাতি মামলা নং জি আর ৬৬/৯২ আসামী হয়ে জেল খেটেছেন। মিফতা জেলে থাকার সুবাদে রোকশানা রাইছ মিলের চালকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর মিফতার কাছে একদিন প্রেমের ঘটনা হাতে নাতে ধরা পড়লে শাজেমান মারধর করা হয়। পরকীয়ার কারনে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাড়ীতে থাকার সুবাদে শাজেমানের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। জেবু চৌধুরীর মামলার স্বাক্ষী আসাদ ও রুবেলের সাথে রোকশানার বিরোধ থাকায় সাক্ষী হয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। শুধু তাই নয় মৃত আওলাদ মিয়ার স্ত্রী ও আলা মিয়ার স্ত্রীর জমিজমা ও দখলের অভিযোগ মিফতাদের বিরুদ্ধে। মনোয়ারা চৌধুরীকে সন্ত্রাসীরা ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় এসব ব্যাক্তিরা। জাল দলিল করে জায়গা জমি আত্মসাতের অভিযোগ এনে তিনি দুদকে আবেদন করেছেন। জেবু চৌধুরীর দাবি প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে রোকশানা বেগম পিতার পক্ষে যেসব অপপ্রচার করেছেন তা বিভ্রান্তিমূলক। অথচ তিনি অনেক বিতর্কিত ও অন্যায় কর্মকান্ডে নিয়োজিত রয়েছেন।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন