বাঘ রক্ষায় ঘুরে বেড়াবে ‘টাইগার ক্যারাভ্যান’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:১৩
ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬: ‘বাঘ আমাদের গর্ব-বাঘ সুরক্ষা করব’- এই স্লোগান নিয়ে সারা দেশে ঘুরে বেড়াবে একটি বাস। যাবে ১০০টি স্থানে। সুন্দরবন ও বাঘ রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করবে। ‘টাইগার ক্যারাভ্যান’ নামের এই কার্যক্রম চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে দুই বছর।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ক্যারাভ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বসবে সংলাপ ‘টাইগার টক’। সেখানেই বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ক্যারাভানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই প্রচারাভিযান বাস্তবায়ন করবে বেসরকারি সংগঠন ওয়াইল্ডটিম।
টাইগার ক্যারাভ্যান পথনাটকসহ নানা আয়োজনে মানুষের মধ্যে বাঘ রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করবে। দেশের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীরা বাঘ বিষয়ে চিত্র আঁকবেন ও শিল্পীরা বাঘ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করবেন। এ ছাড়া ওই ক্যারাভান এর অংশ হিসেবে বাঘ বিষয়ে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ক্যারাভ্যান এর সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন জানান, টাইগার ক্যারাভ্যানটি বাঘের মতো দেখতে একটি বাস, যা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন। এর মধ্যে ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে। বাসটি যে এলাকায় যাবে সেই এলাকার মানুষ এই ওয়াইফাই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে। ক্যারাভান বাঘ বিষয়ে চলচিত্র, অ্যাপস, কার্টুনসহ নানা ধরনের প্রচার কাজ চালাবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ‘টাইগার টক’ শিরোনামে বাঘ সুরক্ষা বিষয়ক সংলাপে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ছাড়াও সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী ও ওয়াইল্ডটিমের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশ্বে এখন মাত্র ৩ হাজার ২০০ বাঘ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ১০৬টি। এই বাঘকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। বাঘ রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরিতেই এই ক্যারাভ্যান করা হচ্ছে।
ওয়াইল্ডটিমের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাঘ না থাকলে আমাদের নতুন একটি জাতীয় প্রাণী খুঁজতে হবে। আমরা বাংলার বাঘ বলতে পারব না। আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতীকও বাঘ। তাই বাঘ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক ও ইউএসএইডের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, ওয়াইল্ড টিম এর ইকবাল হোসেন ও ইউএসএইড বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর কার্ল উরস্টার।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন