প্রচ্ছদ

বয়োবৃদ্ধদের খাবারদাবার

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২২:০৫

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

324e886773ff9b828a688f6847f69e04-35অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ | জানুয়ারি ৩১, ২০১৬: .বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কিছু শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হয়। ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে রোগ। বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের শক্তিরও পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। হতে পারে স্বাদের তারতম্য, রুচি বদল; মুটিয়ে যাওয়া, পেটের চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি।
তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষত যাঁরা ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে গেছেন, তাঁদের জন্য সতর্কতা প্রয়োজন।
* প্রতিদিনের খাবারে যে পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করা হচ্ছে, এর মধ্যে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে শর্করাজাতীয় খাবার থেকে। এ ক্যালরি পেতে ভাত বা রুটি ছাড়াও ভুট্টা, যব বা অন্যান্য খাবার খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের মোট ক্যালরির শতকরা ২৫-৩০ ভাগ আমিষ থেকে এবং ৫-১০ ভাগ চর্বিজাতীয় খাবার থেকে নিতে হবে।
* দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
* প্রচুর পরিমাণে সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। প্রতিদিন কোনো না কোনো ফল খেতে চেষ্টা করুন। ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রতিদিন।
* চা-কফি ও কোমল পানীয়ের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন।
* উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগীদের লবণাক্ত খাবার কম খেতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদ্রোগী এবং যাঁদের রক্তে চর্বির আধিক্য রয়েছে, তাঁরা সপ্তাহে একটি ডিম খেতে পারেন। এ ধরনের সমস্যা এবং কিডনির রোগ না থাকলে সপ্তাহে তিন দিন একটি করে ডিম খাওয়া যেতে পারে।
* হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে নিয়মিত দুধ বা দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
রুচি নেই খাবারে?
খাবারে অরুচি হতেই পারে। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করুন। ক্ষুধামান্দ্য হলে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। খাদ্যনালির রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য ও কিডনির বিভিন্ন রোগে ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।

অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ : মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার