শাহজালালের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে কম্পোজিট ফোর্স
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:১৬
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরশাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় কম্পোজিট ফোর্স (সমন্বিত বাহিনী) কাজ শুরু করেছে। দেশের বিমান বন্দরগুলোর সন্তোষজনক নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পরিবর্তে এই সমন্বিত ফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিভিল এভিয়েশনের তত্ত্বাবধানে এ ফোর্সের প্রধান নিয়ন্ত্রক থাকছে বিমান বাহিনী। সমন্বিত এ ফোর্সে র্যাব ও নিয়মিত পুলিশের সদস্যদেরও অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। গত ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় সমন্বিত একটি ফোর্স গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের পর এই ফোর্স গঠনে তৎপর হন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিমান বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় সমন্বিত ফোর্স কাজ করলেও এপিবিএনও আগের মতো বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় কাজ চালিয়ে যাবে।ৰ
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে এপিবিএন-এর সাফল্য থাকলেও সার্বিক নিরাপত্তায় দেশি-বিদেশি কর্তৃপক্ষগুলো এপিবিএন-এর ওপর সন্তুষ্ট হতে পারেনি। ফলে বিভিন্ন সময় বিমান বন্দরগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনসহ কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে অনুরোধ জানায়। গত ডিসেম্বরেও বৃটেন কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে তাগিদ দিয়েছিলো। নিরাপত্তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তারা কিছু সুপারিশও করেছিলো। নিরাপত্তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
বিমান বন্দর সূত্র জানায়, ১০০ জনের সমন্বিত ফোর্সে বিমান বাহিনীর লোকজন টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখবেন। অন্যদিকে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার অন্যান্য কার্যক্রমগুলো চালাবেন। মূল তদাকির দায়িত্বে থাকবে সিভিল এভিয়েশন। বিমানবন্দরে সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়া, বিস্ফোরক চিহ্নিত করা ও বিমানে খাদ্য সরবরাহসহ তল্লাশিও জোরদার করবে তারা। বিস্ফোরকের সন্ধানে থাকবে একটি ডগ স্কোয়াড।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম কে জাকির হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ১০০ জনের সমন্বিত ওই ফোর্সে বিমান বাহিনীর সদস্যরাই থাকবেন বেশি। তবে ওই নিরাপত্তা ফোর্সে বিমান বাহিনী ও আনসারের ৬০ সদস্য এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। শিগগির র্যাব ও পুলিশের সদস্যরাও এ ফোর্সে যুক্ত হবেন বলে জানান তিনি।
গত ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব এপিবিএনকে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নিরাপত্তা যতটা উন্নত হওয়ার কথা সেটা হয়নি। বরং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। নিরাপত্তা মানে শুধু মালামাল জব্দ করা নয়। এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয় রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন তিনি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন