প্রচ্ছদ

বাল্টিমোরের মসজিদে ওবামা

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:০৮

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

685f307654f3ac964674ceb1783b97f3-images০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬: বারাক ওবামা‘আপনারা শুধু মুসলিম নন বা শুধু আমেরিকান নন, আপনারা একই সঙ্গে মুসলিম ও আমেরিকান।’ গতকাল বুধবার বাল্টিমোর কাউন্টির একটি মসজিদে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বললেন এ কথা। সেখানে এ সময় প্রায় ২০০ মার্কিন মুসলিম প্রতিনিধি ছিলেন। ওবামা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি বলছি, আপনারা এ দেশের জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত।’
ওবামা গতকাল প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মসজিদে গেলেন। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনা ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের ইসলামবিরোধী মনোভাবের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ওবামার মসজিদে যাওয়ার ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
মুসলিম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ওবামা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘মুসলিমরা অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসীদের মতোই মার্কিন পরিবারের সদস্য। কোনো রিপাবলিকান রাজনীতিকের নাম না উল্লেখ করে ওবামা বলেন, যারা আমাদের বিভক্ত করতে চায়, আমাদের উচিত হবে তাদের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করা।’
মার্কিন ইতিহাস থেকে উদাহরণ দিয়ে ওবামা বলেন, একদম শুরু থেকেই মুসলিমরা এ দেশ গড়ায় অংশ নিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, কোনো সন্ত্রাসী হামলার পরই আমেরিকার মানুষ মুসলিমদের নাম শুনতে পায়। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।
ওবামা বলেন, মার্কিন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ইতিবাচক মুসলিম চরিত্র দেখানো উচিত। তিনি মনে করিয়ে দেন, একটা সময় ছিল যখন এ দেশের টিভিতে কালো মানুষদেরও দেখা যেত না।

বাল্টিমোরের যে মসজিদে ওবামা ভাষণ দেন, সেটি আমেরিকার পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর আনুষ্ঠানিক ভাষণের আগে ওবামা মসজিদের ইমাম ইয়াসিন শেখ ও মার্কিন অসি চালনা দলের একমাত্র নারী মুসলিম সদস্য ইবতিহাজ মোহাম্মদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন।

বারাক ওবামার এই আগমন নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। কোনো কোনো রক্ষণশীল ভাষ্যকার ওবামার মসজিদে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। ওবামার ভাষণের সময় মসজিদের বাইরে কয়েকজনকে ইসলামবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

ওবামার মসজিদে যাওয়া নিয়ে প্রশংসাও রয়েছে। এক ই-মেইল বার্তায় ওবামার অন্যতম সহকারী বাংলাদে​শি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ বলেছেন, নাইন-ইলেভেনের আক্রমণের পর অনেক মুসলিমের মতো তাঁকেও বিদ্বেষ ও বৈষম্যের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তিনি নিজের মাথা আবৃত করে হোয়াইট হাউসে কাজ করেন এবং একজন মুসলিম-আমেরিকান হিসেবে সে দেশের সেবা করেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার