ইসরায়েলি পণ্য বয়কট নিষিদ্ধ করছে ব্রিটেন
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:৫৮
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬: বিতর্কিত আইন করে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করা নিষিদ্ধ করছে ব্রিটেন। আইন অমান্য করে কেউ ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করলে তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানা গেছে।
সরকারের এ বিতর্কিত আইন অনুসারে, স্থানীয় কাউন্সিল, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ‘অনৈতিক’ কোম্পানির কোনও পণ্য বয়কট করার ঘোষণা দিতে পারবে না। এ আইনের ফলে স্থানীয় কাউন্সিল অস্ত্র ব্যবসায়ী, জীবাশ্ম জ্বালানি, তামাক পণ্য অথবা পশ্চিম তীর দখলকারী ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করার অধিকার হারাবে।
সরকারের এক মন্ত্রী এ আইনের কথা জানিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পণ্য বয়কটের ফলে সম্প্রদায়গুলোর সুসম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে, বিষাক্ত হচ্ছে এবং বিতর্ক ও ইহুদি বিদ্বেষের জন্ম দিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল সফরের সময় ক্যাবিনেট অফিসমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইনটি ঘোষণা করবেন।
তবে এ বিতর্কিত আইনের সমালোচকরা দাবি করছেন, এটা গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।
লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের মুখপাত্র জানান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অনৈতিকতার কারণে কাউন্সিল ও অপর জনগণের সংস্থার পণ্য বয়কটে নিষেধাজ্ঞা জারি স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।
তিনি বলেন, মানুষ স্থানীয় প্রতিনিধিকে নির্বাচন করে যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। এর মধ্যে পড়ে নৈতিকতা ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রত্যাহার ও কেনাকাটা। সরকারের এই আইনের ফলে স্থানীয় কাউন্সিলের দক্ষিণ আফ্রিকার জাতিবিদ্বেষী বিরোধী পদক্ষেপও বাতিল হয়ে যাবে। সরকারের মন্ত্রীরা বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলেন, অথচ বাস্তবে তারা স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত কাউন্সিলেও কনজারভেটিভ পার্টির নীতি চাপিয়ে দিচ্ছেন।
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে সেসব কোম্পানির পণ্যের ওপর কয়েকটি স্থানে অলিখিত বয়কট চলমান রয়েছে। ২০১৪ সালে লিচেস্টার সিটি কাউন্সিল পশ্চিম তীরে উৎপাদিত ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে। অবৈধ দখলকৃত এলাকা থেকে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়ে নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে স্কটিশ সরকারও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন