প্রচ্ছদ

এনআইডি সংশোধন এখন যার যার এলাকায়

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২২:৪৫

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

0f0e3fa2f9fb2132ab99bc5bc6ffb5ae-১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ঃ জাতীয় পরিচয়পত্রএখন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা থেকে আর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন হবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সোমবার ঢাকা থেকে এনআইডি সংশোধনীর এ সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরিচয়পত্র সংশোধনীর জন্য নিজ নিজ থানা/উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে হবে। এ হিসেবে রাজধানীর ভোটাররা তাদের সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এনআইডি সংশোধন করবেন। ইসির এনআইডি উইংয়ে অতিরিক্ত চাপ সামলানো কঠিন হয়ে ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার ইসি কার্যালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে এনআইডি সংশোধনের জন্য সবাইকেই সংশ্লিষ্ট থানা অথবা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। তিনি বলেন, ইসির এনআইডি উইংয়ে অতিরিক্ত চাপ সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মত ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই বছর আট কোটি ১০ লাখ ছবিসহ ভোটার তালিকা জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে সংযুক্ত হয়। এরপর কয়েক দফায় হালনাগাদের পর জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৩ জন ভোটার দাড়িয়েছে।
কিন্তু ভোটার তালিকায় নানা ধরনের ‍ভুলত্রুটি থাকায় তা সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ছবিসহ এ ভোটার তালিকায় ভোটারদের নাম সংশোধন নিয়ে নানা ধরণের হয়রানির অভিযোগ ওঠে।

২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট জারির কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইডি সংশোধনের জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮টি আবেদন জমা পড়ে এনআইডিতে। ইসির পক্ষ থেকে এগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ইসির পক্ষ থেকে সব নাগরিককে স্মার্ট পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্দেশ্যে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে নাগরিকদের দেওয়া তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ দেওয়া হয়। সোমবার থেকে এই সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত কার্ড সংশোধন করে দিতে গিয়ে এনআইডি উইংয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়ে পড়েছিল। এখন আর কাউকে ঢাকা থেকে কার্ড সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে না। তবে প্রবাসীদের মধ্যে যারা স্বল্প সময়ের জন্য দেশে অবস্থান করে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করবেন তাদের বিষয়টি কমিশন বিবেচনায় নিতে পারে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মত আইডি কার্ড দেওয়া হলেও ওই সময় নাগরিকদের দেওয়া তথ্যে এখন অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ এসব তথ্য পরিবর্তন করলেও বেশিরভাগ নাগরিকের দেওয়া ওই তথ্য জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার আগে এসব তথ্য পরিবর্তনের বিকল্প নেই।

দেশে দশ লাখেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে এবার এনআইডি সংশোধনের জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮টি আবেদন জমা পড়ে ইসিতে। এরমধ্যে এক লাখ ২৩ হাজার ৩৩২টি আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলো সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এনআইডি সংশোধনের জন্য এ পর্যন্ত মোট ছয় লাখ ১৩ হাজার ২৮৯ জন ব্যক্তি আবেদন করেছেন। যা মোট নিবন্ধিত ভোটার মাত্র শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে ২৪ হাজার ৫৩২ জনের করনিক ভুল হয়েছে। বাকী পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জনের আবেদনে তাদের আগের দেওয়া তথ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার