ঐতিহ্যবাহী গাছ সংরক্ষণে আইন হচ্ছে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:৩৪
দেশের সব পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী গাছ সংরক্ষণ করা হবে। এ জন্য একটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। আইনটির নাম হবে ‘বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন ২০১৬’। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, কোনও-কোনও গাছ আছে শত বছরের পুরনো। সেই পুরনো ঐতিহ্যবাহী গাছগুলো যেন পরিবেশের স্বার্থে সংরক্ষণ করা হয়, সেজন্য আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আসলে, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী গাছ সংরক্ষণের জন্য এটি একটি প্রচেষ্টা।
সচিব জানান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় আইন প্রণয়নের বিষয়টি উপস্থাপন করে। মন্ত্রিসভা ব্যাপক পর্যালোচনার পর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটাকে আবার মন্ত্রিসভায় আনা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চা বোর্ডের ব্যবস্থাপনার জন্য এই আইনে বোর্ডের গঠন, সদস্য ও প্রধান নির্বাহী নিয়োগ এবং বোর্ডের কর্মপরিকল্পনা, চা চাষের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, চা উৎপাদন ও বীজ রফতানি নিয়ন্ত্রণ যুক্ত করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনবিহীন চা কারখানা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইন লংঘন করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। আর্থিক জরিমানার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্রায়তনের কারখানার জন্য ৫০ হাজার টাকা ও বৃহদায়তনের জন্য ৫ লাখ টাকা। তবে আইনে চা শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে কিছু বলা নেই।
সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ছাড়াও ‘চা আইন-২০১৬’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিব জানান, সু্প্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় ছিল সামরিক শাসনামলের আইনগুলো বাংলায় অনুবাদ করা। ১৯৭৭ সালের ‘দ্য টি অর্ডিন্যান্স’ পুনর্বিন্যাস করে নতুনভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট অধ্যাদেশগুলো অবৈধ ঘোষণা করেছেন।