প্রচ্ছদ

শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের নারী পুলিশদের প্রশংসায় বান কি মুন

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৩:২০

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

7fd66140969aa60e3323d51693d8c9ec-জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের নারী পুলিশকে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন,‘তারা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এর মধ্য দিয়ে শান্তিরক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনতেও বাংলাদেশ পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।’
বুধবার জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ মহিলা পুলিশের সাফল্য নিয়ে নির্মিত ‘এ জার্নি অব এ থাউজ্যান্ড মাইলস: পিসকিপার’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে মহাসচিব একথা বলেন। সোমবার এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বার্তায় জানানো হয়, হাইতির যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় নানা প্রতিকূল পরিবেশে মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম। পাঁচজন নারী পুলিশ সাহসী ভূমিকা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন তারা। তাদের সাহসী ভূমিকা ও পেশাদারিত্বের অভিজ্ঞতা আলোকিত হয়েছে ওই ডকুমেন্টারিতে।
ডকুমেন্টারিটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, কাঁচা হাতে ছোট্ট শিশুর লেখা চিঠিতে চোখ রেখে অশ্রু ঝরিয়েছেন এক মা পুলিশ। আবার মুহূর্তেই হয়েছেন পেশাদার। খেলাধুলা, নামাজসহ ধর্মাচার এবং ইউনিফরম পরে নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। সব মিলিয়ে এক অনন্য প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের মহিলা পুলিশ ইউনিটের। বাংলা, ইংরেজি এবং ক্রিয়োল ভাষায় নির্মিত ৯৫ মিনিটের ওই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ফিল্ম একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতের গীতা গান্দভির এবং পাকিস্তানের শারমিন ওবায়েদ চিনয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তার বক্তব্যে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শান্তিরক্ষার চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশের মেয়েদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,‘পুলিশের পেশাদারিত্ব, সক্ষমতা শুধু দেশেই নয়-আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণিত সত্য। বিশ্বের ১৭টি দেশে পুরুষ সদস্যগণ যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে-তার সঙ্গে যুক্ত হলো আমাদের নারী সদস্যদের কৃতিত্ব। জাতিসংঘ মহাসচিব যে কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন-সেটা এদেশের সকল পুরুষ ও নারী পুলিশের পেশাদারীত্বকে আরও উজ্জীবিত করবে।’

তথ্যচিত্রটির নির্মাতা গীতা গান্দভির এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,‘সারা বিশ্বের জানা দরকার যে বাংলাদেশের মেয়েরা কি করছে।’

শারমিন ওয়াজেদ চিনয় বলেছেন,‘অনেকে বিশ্বাস করবে না যে বাংলাদেশ থেকে মুসলমান মেয়েরা হাইতিতে এসে শান্তিরক্ষার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। বাচ্চাদের কোলে নিয়ে অশ্রসিক্ত স্বামীরা যাদেরকে বিদায় জানিয়েছে-আজ তারা গর্বের প্রতীক। বাংলাদেশের নারী পুলিশ সেদেশে বেড়ে ওঠা অন্যান্য মেয়েদের জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে।’

জাতিসংঘ পুলিশের উপদেষ্টা স্টেফান ফেলার, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধি এবং বিশ্বসংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ হাইতিতে একটি পূর্ণাঙ্গ নারী পুলিশ কন্টিনজেন্ট প্রেরণ করে। বর্তমানে হাইতি ও কঙ্গোতে মোট ৮৬২ জন নারী পুলিশ শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার