জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস আজ, ভবন তৈরিতে জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১০ মার্চ ২০১৬, ১৩:২১
শেখ হাসিনাদুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভবন তৈরির ক্ষেত্রে জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বুধবার এই আহ্বান জানান তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ১০ মার্চ দেশব্যাপী ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগে পাবো না ভয়, দুর্যোগকে আমরা করবো জয়’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগের নতুন ঝুঁকি প্রতিরোধ ও বিদ্যমান ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। তার জন্য দরকার সবার সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যেগ। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের মাধ্যমে আসন্ন দুর্যোগ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের সামর্থ্য বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘকাল থেকে বাংলাদেশের মানুষ দুর্যোগ মোকাবেলা করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের উদ্যোগ নিয়ে ১৯৭২ সালে গঠন করেছিলেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি করেছিলেন মাটির কিল্লা যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। মুজিব কিল্লা আজও ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় প্রাণিসম্পদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের রয়েছে সুদীর্ঘ অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা। ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা, ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলাসহ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগ আমরা সফলতার সাথে মোকাবেলা করেছি। এসব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সকল উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম সম্পৃক্ত করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০১০-২০১৫ এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন,‘আমরা দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী ২০১০ জারী করেছি। দুর্যোগ বিপদ সংকেত পদ্ধতি, দুর্যোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, প্রস্তুতি, সাড়াদান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন ইত্যাদি কার্যক্রমে আমাদের সরকার তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম ক্রয় অব্যাহত রয়েছে। নগর পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম সমন্ধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ জরিপ সম্পাদন করে মাইক্রোজোনেশন ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠনে আমরা সদা প্রস্তুত।’ সূত্র: বাসস।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন