বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজারে ৩ সদস্যের টিম
১০ মার্চ ২০১৬, ১৩:২৬
কক্সবাজারে বিধ্বস্ত বিমানকক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের নাজিরাটেক পয়েন্টে বেসরকারি কার্গো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্তটিম কাজ করছে। বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্বে এ তদন্তটিম বুধবার রাতে কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কক্সবাজার বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই ৩ সদস্যের তদন্তটিম কক্সবাজারে এসে পৌঁছে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্তের শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালেও দুর্ঘটনাস্থল নাজিরারটেক এলাকায় গিয়ে তারা বিধ্বস্ত বিমানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল মজিদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বিধ্বস্ত বিমানটি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাগর উপকূলে নিয়ে আসেন। যেহেতু বেসরকারি বিমান, তাই এটি তাদের মালিকপক্ষের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিধ্বস্ত বিমানের কিছু মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সোলতান আহমেদ সিরাজী জানান, লাশের ময়নাতদন্ত এখনও শেষ হয়নি। লাশগুলো এখনও মর্গে রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রু এভিয়েশন নামের একটি চিংড়ি পোনাবাহী কার্গো বিমান কক্সবাজার বিমানবন্দর ছেড়ে যশোরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের ৫ মিনিটের মাথায় বিমানটি রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক-সোনাদিয়ার বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে বিধ্বস্ত বিমান থেকে নিহত অবস্থায় ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কুলিশ নোলরি (৪০), আহতবস্থায় পাইলট গাটারভ ওয়াদকে (৪৭) উদ্ধার করে। পরে বিকাল ৪টার দিকে বিমানের নেভিটের কালটুরভ (৪৫), কো-পাইলট জুলুডিমির (৩৮) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা চারজনই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ইউক্রেনের নাগরিক।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন