সেতু কর্তৃপক্ষ গঠনে সংসদে বিল
২৫ এপ্রিল ২০১৬, ২১:৩০
দেড় হাজার মিটার বা তার থেকে বড় দৈর্ঘ্যের সেতু-ট্যানেল ও ফ্লাইওভারসহ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেতু বিভাগের ওপর ন্যস্ত করে ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিল- ২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করার পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনে সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন স্থাপনা ও সংরক্ষিত অংশের জন্য এর ব্যবহাকারী কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি বা যানবাহনের ওপর ফি বা টোল ধার্য ও আদায়ের দায়িত্বও কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকবে বলে বলা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব বোর্ডের ওপর থাকবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান এবং সেতু বিভাগের সচিবকে ভাইস চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের এই বোর্ড গঠিত হবে।
প্রশাসন বোর্ড কর্তৃপক্ষের আওতাধীন স্থাপনাগুলো নির্ধারিত শর্তে ও সময়ের জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দিতে পারবে।
বিলে কোনও সেতু, ট্যানেল টোল, সড়ক বা কর্তৃপক্ষের অন্য স্থানে যানবাহন চলাচলে বাধা দিলে; কর্তৃপক্ষের কোনও বিজ্ঞপ্তি সরিয়ে ফেললে, সারি ভেঙে টোল ঘরের কাছে জট সৃষ্টি করলে দশ হাজার টাকা জরিমানা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সেতু, ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ কারিগরি দিক থেকে জটিল প্রকৃতির অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশের সেতু কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান প্রণয়ন এবং সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে বর্ণিত সময়ে জারিকৃত ‘যমুনা মাল্টিপারপাস ব্রিজ অথরিটি অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫, যা ২০০৭ সালে বাংলায় অনুদিত এর কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগের অধীনস্ত একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। আর সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৮ সালে গঠিত হয় সেতু বিভাগ।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন