প্রচ্ছদ

শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

১৭ মে ২০১৬, ০৯:৫৪

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

ea418c6c1bff69be7531d8d24411b7ef-573a89d7be4cbআজ ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। প্রায় ছয় বছরের দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এদিন তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে তারা রেহাই পান।

পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে তিনি বলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি দেশে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাতদিনের বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া দলটির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পৃথকভাবে দিবসটি পালনে কর্মসূচি নিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় এক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক বাণীতে তিনি বলেছেন, তাঁর প্রত্যাবর্তনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। তাঁর দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে ধাপে ধাপে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু তাঁর চলার পথ মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লীতে তাঁদের চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৯০’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে এদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে রাজনীতিবিদ হিসাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আবারও দেশে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তি জিয়াউর রহমানের অপশাসনে দেশের মানুষের রুদ্ধশ্বাস অবস্থার সময়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি তাই জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আাগামীকাল  বিকেল ৩ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সস্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আযোজন করেছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বরেণ্য নাগরিক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেলা ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করবে। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে অপরাজেয় বাংলায় শেষ হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্যে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: বাসস।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার