‘মশা নিধনে ব্যর্থতা’ জিকার প্রকোপ বাড়িয়েছে
২৪ মে ২০১৬, ০৯:৪৮
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অতীতে মশা নিধন প্রকল্পের ব্যর্থতায় জিকা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঘটছে।
সংস্থাটির প্রধান বলেন, ১৯৭০ এর দশকের একটি নীতিগত ব্যর্থতার ফলেই আজকে পৃথিবীর প্রায় ৬০টির বেশি দেশে ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটছে রোগটির।
সম্প্রতি জিকা ভাইরাসের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর বার্ষিক সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতির জন্যে অতীতের নীতিগত ব্যর্থতাকে দোষ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বলছেন যে গত শতকের ষাট এর দশকে মশক নিধনের জন্যে কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু ৭০এর দশকে এসে বেশকিছু কারণে সেটি ব্যর্থ হয়। কীটনাশকের বিরুদ্ধে মশার প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি, এমনকি রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবও রয়েছে মশক নিধন প্রকল্প ব্যর্থ হবার পেছনে। আর তারই মূল্য দিতে হচ্ছে এখন।
“মানুষের বসবাসের বেশ কিছু পরিবর্তন পৃথিবীতে জীবাণুদের বিস্তারের সুযোগও করে দিয়েছে। একটি জীবাণুবাহী মশা যদি কোন গর্ভবতী মহিলাকে কামড়ায়, তাহলে এই আশঙ্কাও থাকে যে তার ভূমিষ্ঠ শিশুটি ভয়াবহ রকমের মস্তিষ্কের অস্বাভাবিকতা নিয়ে জন্মাতে পারে। এভাবেই ধীরে ধীরে জিকা ভাইরাস সাধারণ হুমকি থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং এটি অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি” বলেন মিস চ্যান।
৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এখন জিকা ভাইরাসের বিস্তার ঘটছে এবং এই গ্রীষ্মে এটি ইউরোপেও পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন