বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ আবারো মুখোমুখি মুস্তাফিজ-সাকিবরা
২৫ মে ২০১৬, ১৪:৪৭
দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলায় আইপিএলের প্লে অফের এলিমিনেটর ম্যাচে আজ আবারো মুখোমুখি হচ্ছে মুস্তাফিজদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও সাকিবদের কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড়ের এ ম্যাচটি শুরু হবে রাত সাড়ে আটটায়।
তবে আজকের ম্যাচটা হবে দুই দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে, আর জিতলে শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়ন্সের মুখোমুখি হতে হবে।
ইডেনে শেষ ম্যাচে হেরে বিচলিত না হয়ে আরও বেশি সতর্ক সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তবে দলে আশীষ নেহেরা না থাকায় বোলিংয়ে কিছুটা সমস্যায় রয়েছে তারা। ওয়ার্নারের মতে, নেহরার অভিজ্ঞতার বিকল্প হয় না।
ও থাকা টিমের পক্ষে সব সময় ভাল। কিন্তু ওর বদলে যে খেলছে, সেই স্রান তো খারাপ করছে না। টি-টোয়েন্টি খেলাটার চরিত্র এমন যে, এক জনের ওপর আলাদা করে কিছু নির্ভর করে না। ১২০ বলের খেলা। যে কেউ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
ওয়ার্নার আরও জানায়, তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজ বড় ট্যালেন্ট। আমি চেষ্টা করেছি ওকে সতর্কভাবে ব্যবহার করতে। ডেথ ওভারে ও খুব কার্যকরী বোলার।
সানরাইজার্স অধিনায়কের ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই। এ টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের দিকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়ার্নার। লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচে ওয়ার্নারের মোট রান ৬৫৮। হাফ সেঞ্চুরি সাতটি, সর্বোচ্চ রান ৯২। ব্যাটিং গড় ৫৪.৮৩। পুরো টুর্নামেন্টে ১৫০.৯১ স্ট্রাইক রেট, হাঁকিয়েছেন ৬৬ টি বাউন্ডারি ও ২৫টি ওভার বাউন্ডারি। দুটি ম্যাচে সেরাও হয়েছেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মুস্তাফিজদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন কুলদীপ সিং। পিযুষ চাওলার জায়গায় তাকে খেলান অধিনায়ক গাম্ভীর। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন তিনি, কুলদীপ বিশ্বে এমন বিরল বাঁ হাতি চায়নাম্যান বোলার, যার ডেলিভারি ন্যাটা ব্যাটসম্যানের লেগ ব্রেক হয়। সানরাইজার্সে তিন হেভিওয়েট ব্যাটসম্যান বাঁ হাতি। শিখর ধাওয়ান, ডেভিড ওয়ার্নার ও যুবরাজ সিং। ইডেনের ম্যাচে কুলদীপের প্রথম শিকার হন শিখর ধাওয়ান। এর পর আউট করেন কেন উইলিয়ামসনকে। একাই মোড় ঘুরিয়ে দেন ইডেনে মৌসুমের শেষ আইপিএল ম্যাচের।
কেকেআরের ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক গাম্ভীরের সঙ্গে উথাপ্পার দারুণ রসায়নে টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি অসাধারণ ওপেনিং জুটি উপহার দিয়েছে। তবে ফর্মে থাকা ইউসুফ পাঠান আজও তুরুপের তাস।
নাইটদের ম্যাচ উইনার ইউসুফ পাঠান লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচে করেছেন ৩৫৯ রান । হাফ সেঞ্চুরি তিনটি, সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৬৩। ব্যাটিং গড় ৮৯.৭৫। পুরো টুর্নামেন্টে ১৪৮.৩৪ স্ট্রাইক রেট, হাঁকিয়েছেন ৩৩ টি বাউন্ডারি ও ১৩ টি ওভার বাউন্ডারি।দুটি ম্যাচে সেরাও হয়েছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশী অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও রয়েছেন দারুণ ফর্মে। মুস্তাফিজদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যুবরাজের উইকেট নিয়ে দারুণ ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন, ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওই যুবরাজের উইকেটটি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন