মেন্দি-জয়ের সাক্ষাৎ নিয়ে প্রপাগাণ্ডার উৎস সাদী
৩০ মে ২০১৬, ২২:০৭
ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে জয়ের সাক্ষাতের প্রপাগাণ্ডায় জোড়ালোভাবে উঠে এসেছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদীর নাম। জানা যায়, মেন্দির সঙ্গে জয়ের সাক্ষাতের বিষয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা জ্যাকব মিল্টনকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে নতুন তথ্য আসছে বলে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবিসহ পোস্ট দেন জাহিদ এফ সরদার সাদি। এর থেকে প্রমাণ হয়, ইউটিউবে প্রকাশ হবার এক ঘণ্টা আগেই ভিডিওটি সম্পর্কে জানতেন সাদী। নিজের ফেসবুক পোস্টে তাই ভিডিওটি আপলোড হবার এক ঘণ্টা আগে দেয়া পোস্টে সাদী লেখেন, ‘ভিডিও সহ ব্রেকিং নিউজ আসছে, সাথেই থাকুন, সত্য উন্মোচন করা হবে – ইসরাইলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেনদি সাফাদি ও জাহিদ এফ সরদার সাদী।’
পোস্টে দেয়া ছবিতে দেখা যায়, লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছেন এবং কথা বলছেন স্বয়ং জাহিদ এফ সরদার সাদী।
এ ছাড়াও মেন্দি সাফাদির সাক্ষাৎকার নেয়া সেই ভিডিও রেকর্ডিং রুমেও ছিলেন সাদী। সেখানে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন জ্যাকব মিল্টন। অর্থাৎ মেন্দির ভিডিওটি তৈরি থেকে শুরু করে তার প্রচারের সব ক্ষেত্রেই উপস্থিত ছিলেন সাদী নিজে। সঙ্গী হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ‘আইডেন্টিটি থ্রেফট’ বা অন্যের পরিচয়ে অর্থ লোপাটের দায়ে অভিযুক্ত জ্যাকব মিল্টন। জ্যাকব যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছে। জ্যাকব ও সাদীর ফেসবুক পেইজ থেকে দেখা যায় গত ১ বছর ধরেই তারা সরকারের বিভিন্ন ব্যাক্তি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যাক্তিকে নিয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডামূলক ভিডিও তারা তৈরি করেছেন।
এর আগে ২০১৫ সালে সাদীর ভুল সংবাদ পরিবেশনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ম্যান। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশে সরকারের বাধা ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের কারাবাস নিয়ে কংগ্রেস ম্যান দুঃক্ষ প্রকাশ করেছে বলে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার প্রতিবাদ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স থেকে জানানো হয়, কংগ্রেস ম্যানকে উদ্ধৃত্ত করে বাংলাদেশে হওয়া প্রতিবেদন সঠিক নয় এবং তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে (যুক্তরাষ্ট্রের) পররাষ্ট্র বিভাগ।
এদিকে সাফাদির ভিডিওটিতে জ্যাকব নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিফেন মর্টগেজ কোম্পানির শাখা অফিসে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। পরবর্তিতে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থ লোপাট চেষ্টায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হন এবং চাকরী হারান তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমসে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। (http://www.nytimes.com/2007/10/16/nyregion/16identity.html) নিউ ইয়র্ক টাইমস।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন