টিউলিপকে হুমকি: ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
১৯ জুন ২০১৬, ১২:৩৮
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখেছেন টিউলিপকে একেবারে লিখিত চিঠি দিয়ে এবং সে চিঠির ভাষা এরকম; যে তোর নানাকে হত্যা করেছি, তোকে, তোর মা-খালাসহ হত্যা করব।
“এই ধরনের চিঠি দিয়ে তাকে থ্রেট করা হয়েছে। টিউলিপ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একজন সংসদ সদস্য। কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন তাকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
কারও নাম উল্লেখ না করলেও এই হুমকির জন্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “লন্ডনে বসে এই যে হুমকিটা দেওয়া। এক কুলাঙ্গার সেখানে বসে আছেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে কেন সেখানে জায়গা দিয়েছেন জানি না।”
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান তিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তখন থেকে সেখানেই রয়েছেন তারেক।
চারদলীয় জোট সরকার আমলে আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার ও শাহ এমএস কিবরিয়া হত্যায় ‘বিএনপির সম্পৃক্ততার’ কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাদের চরিত্র এমপি হত্যা করা, মানুষ হত্যা করা, প্রকাশ্য আগুনে পুড়িয়ে মারা, গুপ্তহত্যা করা। লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার যাকে (তারেক রহমান) বসিয়ে রেখেছেন আদর দিয়ে, সে যাবার পরেও কিন্তু তাদের ওখানে এমপি হত্যা হচ্ছে, আজকে টিউলিপ হুমকি পাচ্ছে।”
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, “আমি আশা করি যে, ব্রিটিশ সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।”
বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত গুপ্তহত্যা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টার সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম ‘শিবিরকর্মী’ ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “মাদারীপুরে প্রভাষক রিপনকে হত্যার জন্য যে চেষ্টা করলো, আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, সে একজন শিবিরের কর্মী।
“কাজেই এই গুপ্তহত্যাগুলি যে সুপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে, আমার মনে হয় এই ঘটনার পর কারো কোনো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়।”
গুপ্তহত্যা বন্ধ এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বক্তব্য দেন।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন