পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১শ’টি শাখার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২২ জুন ২০১৬, ১৮:৫৪
বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে। সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন এই দেশের মানুষের জন্য। তাই এ দেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে এটা হতে পারে না। দেশের মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের করে আনতে হবে। এ জন্য যা করার দরকার তা করা হবে”
২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’কে স্থায়ী রূপদান করে বিশেষায়িত ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে চালু হচ্ছে এ ব্যাংক। এর মধ্যে ৯৮ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় গঠিত সমিতির শেয়ারহোল্ডারদের।
প্রকল্পের অধীনে দেশের সকল ইউনিয়নে প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে সমিতি গঠিত হয়েছে ও এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। এটি দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে’।
২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের অনুষ্ঠানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আইন পাস হয়।
সরকারি বাসভবন গণভবনে ৬৪ টি জেলায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১শ’টি শাখার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে। সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন এই দেশের মানুষের জন্য। তাই এ দেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে এটা হতে পারে না। দেশের মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের করে আনতে হবে। এ জন্য যা করার দরকার তা করা হবে।
বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও‘র ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কিছু দিকের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনজিওগুলো দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্র ঋণ দিলেও সাপ্তাহিক উচ্চ সুদের হারের কারণে ঋণগ্রহীতার হাতে আর কিছু্ই থাকতো না। ফলে ঋণ শোধ না করতে পেরে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন।
এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপর আমরা জোর দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর মাধ্যমে মানুষের সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। যার সুফল পাবে সর্বস্তরের মানু
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে সকলকে বাঁচাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাখাগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাম আর্থিকভাবে যতবেশী শক্তিশালী হবে দেশের অর্থনীতি তত দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় যেসব চিন্তা ভাবনা করেছিলেন, যে সব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন, সে সব সম্পর্কে জানার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে। সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন এই দেশের মানুষের জন্য। তাই এ দেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে এটা হতে পারে না। দেশের মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের করে আনতে হবে। এ জন্য যা করার দরকার তা করা হবে।
বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও‘র ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কিছু দিকের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনজিওগুলো দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্র ঋণ দিলেও সাপ্তাহিক উচ্চ সুদের হারের কারণে ঋণগ্রহীতার হাতে আর কিছু্ই থাকতো না। ফলে ঋণ শোধ না করতে পেরে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন।
এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপর আমরা জোর দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর মাধ্যমে মানুষের সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। যার সুফল পাবে সর্বস্তরের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১শ’টি শাখার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি টেলি কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, ফরিদপুর সদর উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলার ‘একটি বাড়ি একটি বাড়ি খামার’ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।