প্রচ্ছদ

সেতু মেরামত করতে গিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার- শ্রীমঙ্গল মহাসড়কে ভাঙ্গন, ৪৫০ কোটি টাকা ক্ষতির আশংকা

২৫ জুন ২০১৬, ০৯:৩৬

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

63208ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত “শেরপুর সেতু” মেরামত করতে গিয়ে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের সাড়ে ৪ শত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।

গত ১০ জুন শুক্রবার সকল থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য সেতু বন্ধ করে সিলেট সড়ক বিভাগ।

এরপর থেকে যানবাহন ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার- শ্রীমঙ্গল-হয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছে।

হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য তৈরী আঞ্চলিক মহা সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় স্থানে স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে গর্ত হচ্ছে। অনেক স্থানে এ সব গর্তে পাথর বোঝাই ট্রাক আটকা পরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল-হয়ে মিরপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহা সড়কের দৈর্ঘ্য ১০৫ কিলোমিটার। পাথর বোঝাই ভারী ট্রাক ১০৫ কিলোমিটার এন ২০৮ এবং এন-২-২০৮ সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করায় রাস্তার অনেক স্থানে উচু-নিচু ঢেউয়ের মতো হয়ে গেছে এবং ভেঙ্গে বিশাল বিশাল গর্ত হচ্ছে। প্রতি দিন পাথর বোঝাই ট্রাক রাস্তাার এক পাশে দেবে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার। এতে করে প্রতিদিন যেমন ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে, তেমনি সাধারণ মানুষের ভুগান্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তার ভেঙ্গে যে ক্ষতি হচ্ছে মেরামতে প্রায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

অপর দিকে ঢাকা-সিলেট মহা-সড়ক বন্ধ হওয়ায় ভারী যানবাহন আঞ্চলিক মহা সড়কের দিয়ে যাতায়াতের ফলে মৌলভীবাজার জেলা শহরে মাত্রাতিরিক্ত যানজট বেড়েছে। যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। হরণের শব্দে রাস্তার আশপাশের বাসা-বাড়ি, দোকান-পাঠ, স্কুল-কলেজ অফিসগুলোতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পথচারিরা খুব আতংক নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছেন। এছাড়া প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত জানান, ৩০-৪০ টন ওজনের পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য এ রাস্তা তৈরী হয়নি। এ সব ভারী যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিই ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এ ধরনের রাস্তা প্রতি কিলো মিটার নতুন ভাবে নির্মান করতে গেলে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া পুরো রাস্থা মেরামত করলে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বললেন, এতো ভাল রাস্ত নষ্ঠ হচ্ছে দেখে আমারও কষ্ট হচ্ছে, রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি লিখেছি।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
24Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার