প্রচ্ছদ

তারেক রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা ২০ কোটি

২১ জুলাই ২০১৬, ১২:০৩

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

imageঅর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তাঁর জরিমানা ৪০ কোটির পরিবর্তে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।

তারেক রহমান গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ হওয়ার পর থেকে এ মামলার রায় কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার বাদী খাদিজা বেগম ও পোসাপ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, মেরিনা জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, দেশের টেকসই ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অর্থ পাচার বড় ধরনের বাধা। তারেক রহমান একজন সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কিংবা এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়া অর্থনৈতিক অপরাধ,  যার দায়িত্ব তারেক রহমান এড়াতে পারেন না।

এর আগে অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের রায় পড়া শুরু হয়। গত ১৬ জুন শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়।

ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘুষ হিসেবে গ্রহণের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন।

এ মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয় সাত বছরের কারাদণ্ড; করা হয় ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।

তারেককে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আপিল আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন।

মামলাটি দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক। কয়েক দফা তাঁকে সমনও পাঠানো হয়। আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩-২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়, যার মধ্যে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার