প্রচ্ছদ

যেভাবে হজ্ব আদায় করবেন

০৭ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৩৭

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

1-1-660x330তামাত্তু হজ আদায়ের পদ্ধতি
বাংলাদেশ থেকে যারা পবিত্র হজে গমন করেন, তাঁরা সাধারণত তামাত্তু হজ আদায় করে থাকেন। তামাত্তু হজকারীদের, অর্থাৎ মধ্যখানে হালাল হয়ে পৃথক দুটি ইহরামে যাঁরা হজ ও ওমরা পালন করবেন, তাঁদের নিম্নবর্ণিত কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হবে। ৮ জিলহজের আগেই তাদের ওমরা পালন করতে হবে। তারপর ৮ জিলহজ থেকে হজের কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
♦ মক্কা শরিফ গমনকারীদের নিজ নিজ মিকাত অতিক্রমের আগেই ওমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা ফরজ। অর্থাৎ সেলাইবিহীন দুটি সাদা কাপড় পরিধান করে দুই রাকআত নফল নামাজ আদায় করে শুধু ওমরার নিয়ত করবে এবং এভাবে তালবিয়া পড়বে : ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকা লাকা।’ (বুখারি : ১৪৪৮)
♦ মিকাত পরিচয়ে অক্ষম ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে পৌঁছার আগে অথবা বিমানবন্দর থেকেই ইহরাম বেঁধে নিতে হবে।
♦ তারপর ওমরাহ করা, অর্থাৎ ওজুর সঙ্গে বাইতুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা ফরজ। এ তাওয়াফ এবং যেসব তাওয়াফের পর ‘সাঈ’ করা হয়, সেসব তাওয়াফের সময় দুটি বিষয় লক্ষণীয়। এক. ‘ইজতিবা’ অর্থাৎ ডান হাতের নিচ দিক থেকে ইহরামের কাপড় বাম কাঁধে রাখা মুস্তাহাব। দুই. প্রথম তিন চক্করের সময় ‘রমল’ করা। অর্থাৎ পুরুষেরা দ্রুতগতিতে বীরদর্পে চলা সুন্নাত। তাওয়াফ শেষে সম্ভব হলে মাক্বামে ইবরাহিমের পেছনে, অন্যথায় হারাম শরিফের যেকোনো স্থানে (মাকরুহ সময় ছাড়া) দুই রাকআত নামাজ পড়া ওয়াজিব। তারপর সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সাতবার ‘সাঈ’ করা ওয়াজিব।
♦ অতঃপর পুরুষদের মাথা মুণ্ডানো বা পুরো মাথা ছাঁটানো আর মহিলাদের চুলের এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটে ফেলা ওয়াজিব। এতেই ওমরা সমাপ্ত হয়ে যায়। তারপর ইহরাম খুলে যাবতীয় কাজ স্বাভাবিকভাবে করা যাবে। এরপর থেকে হজের কার্যক্রম শুরু।
৮ জিলহজের করণীয়
তামাত্তু হজকারীদের ৮ জিলহজ হুদুদে হারামের যেকোনো স্থান থেকে তথা নিজ বাসা, ঘর, হারাম শরিফ থেকে হজের নিয়তে পুনরায় ইহরাম বেঁধে জোহরের আগে মিনায় পৌঁছতে হবে। ৮ তারিখ জোহর থেকে ৯ তারিখ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করা সুন্নাত।
৯ জিলহজের করণীয়
♦ জিলহজের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পর মিনা থেকে আরাফার দিকে যাত্রা করবে। সেদিন সূর্য হেলার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। সেদিন ঝামেলামুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে নিজ নিজ তাঁবুতে জোহর ও আসর নামাজ নিজ নিজ সময়ে মুকিম হলে চার রাকআত এবং মুসাফির হলে দুই রাকআত করে আদায় করবে। তবে মসজিদে ‘নামিরার’ জামাতে পড়লে একসময়েও আদায় করা যাবে। মোটকথা এখানে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে এক আজান ও দুই ইকামতে আদায় করতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে যে আরাফার সঠিক সীমান্তে পৌঁছতে ভুল করলে হজ হবে না।
♦ সূর্যাস্তের পর মাগরিব না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। মাগরিবের ওয়াক্ত চলে গেলেও, রাত গভীর হলেও মুজদালিফায় পৌঁছার পরেই মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে পড়তে হবে। কেননা মুজদালিফায় পৌঁছে মাগরিব ও এশা এক আজান ও দুই ইকামতে একসঙ্গে আদায় করা ওয়াজিব। এখানে রাত যাপন করা সুন্নাত এবং ১০ জিলহজ ফজরের পর সূর্যোদয়ের আগে কিছু সময় মুজদালিফায় অবস্থান করতে হবে। কেননা ১০ তারিখ সুবহে সাদেকের পর কিছু সময় মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। তবে দুর্বল ও মহিলাদের জন্য রাতেই মিনার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া বৈধ।
১০ জিলহজের করণীয়
♦ জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদেকের পর কিছু সময় মুজদালিফায় অবস্থান করে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং মিনায় পৌঁছে কেবল বড় জামিরায় (শয়তানকে) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। ১০ তারিখ সুবহে সাদেকের পর থেকে পরদিন সুবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় এই কঙ্কর নিক্ষেপ করা যাবে। যদি এই সময়ের মধ্যে কঙ্কর নিক্ষেপ করা না হয়, তবে দম দিতে হবে। এটি সূর্যাস্তের আগে করতে পারলে ভালো।
♦ ১০ জিলহজ কঙ্কর মারার পরই দমে শোকর বা দমে তামাত্তু—যাকে হজের কোরবানি বলা হয়, নিশ্চিত পন্থায় তা আদায় করা ওয়াজিব। কোরবানির পরেই মাথা হলক করা ওয়াজিব। তবে চুল ছোটও করা যাবে। মনে রাখতে হবে, হাদি বা কোরবানির পশু অন্যকে দিয়ে জবাই করানো হলে জবাইয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
♦ কোরবানির পর মাথা মুণ্ডানো বা ছাঁটানোর পর ইহরাম খুলে সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে করতে পারবেন এমনকি স্বাভাবিক কাপড় পরেও তাওয়াফে জিয়ারত করা যাবে। তবে তাওয়াফে জিয়ারতের আগে স্বামী-স্ত্রী মিলন বৈধ হবে না।
♦ কঙ্কর মারা, কোরবানি করা ও চুল কাটার মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ওয়াজিব, ব্যতিক্রম হলে ‘দম’ দিতে হবে।
♦ তাওয়াফে জিয়ারত বা হজের ফরজ তাওয়াফ করে সাফা-মারওয়া ‘সাঈ’ করা ওয়াজিব। সম্ভব হলে সেই তাওয়াফ ১০ তারিখে করা ভালো। অন্যথায় ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আগেই আদায় করা ওয়াজিব। হলক বা মাথা মুণ্ডানোর পরই এই তাওয়াফ করা সুন্নাত। তবে কারণবশত এর আগেও বৈধ আছে। তাওয়াফে জিয়ারতের পর স্বামী-স্ত্রী মিলনও বৈধ হয়ে যায়।
♦ ১০ তারিখ দিবাগত রাত মিনায় যাপন করা সুন্নাত।
১১–১২ ও ১৩ জিলহজের করণীয়
১১, ১২ তারিখে প্রথম, দ্বিতীয়, ও তৃতীয় জামারায় উভয় দিন সাতটি করে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। ছোট জামারা থেকে শুরু করে বড় জামারায় তা শেষ করবে। সূর্য হেলার পর থেকে পরদিন সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় এই কঙ্কর নিক্ষেপ করা যাবে। সূর্যাস্তের আগে সম্ভব হলে ভালো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে সূর্য হেলার আগে নিক্ষেপ করলে আদায় হবে না, বরং সূর্য হেলার পর আবার নিক্ষেপ করতে হবে। অন্যথায় ‘দম’ দিতে হবে। এটাই নির্ভরযোগ্য ফতোয়া। তবে অতি ভিড় বা অন্য কোনো অসুবিধার কারণে সূর্য হেলার আগে নিক্ষেপ করলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.)-এর এক বর্ণনামতে বৈধ হবে।
আর ১৩ তারিখ সূর্য হেলার পর কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করা সুন্নাত। তবে কেউ যদি ১২ তারিখে চলে আসতে চান, তাহলে ওই দিন সূর্য হেলার পর থেকে পরদিন সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় পাথর মেরে চলে আসতে পারবেন। কিন্তু যদি কেউ ১৩ জিলহজ সুবহে সাদেকের পর মিনায় অবস্থান করেন তাহলে তাঁর জন্য ১৩ তারিখও কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। অন্যথায় ‘দম’ দিতে হবে। ১২ তারিখের পর একজন হাজি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
♦ তারপর মিনা থেকে মক্কা এসে বিদায়ী তাওয়াফ করা ওয়াজিব। বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের হজ শেষে বিদায়ী তাওয়াফ করতে হয়, এটি ওয়াজিব। তবে হজ শেষে যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে পরিণত হয়ে যায়।
♦ মিনার দিনগুলোতে মিনায়ই রাত যাপন করা সুন্নাত।
হজের ফরজসমূহ
♦ ইহরাম বাঁধা। (সুনানে কুবরা : ৯১৯০)
♦ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (তিরমিজি : ৮১৪)
♦ আরাফায় অবস্থানের পর কাবা শরিফে সাত চক্কর লাগানো। যাকে তাওয়াফে জিয়ারত বা তাওয়াফে এফাজা বলা হয়।
হজের ফরজসমূহ
♦ ইহরাম বাঁধা। (সুনানে কুবরা : ৯১৯০)
♦ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (তিরমিজি : ৮১৪)
♦ আরাফায় অবস্থানের পর কাবা শরিফে সাত চক্কর লাগানো। যাকে তাওয়াফে জিয়ারত বা তাওয়াফে এফাজা বলা হয়।
হজের ওয়াজিবসমূহ
♦ সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। এর সময় হলো জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯৮, তিরমিজি : ৮১৫)
♦ সাফা-মারওয়ায় সাত চক্কর লাগানো। যাকে সাঈ বলা হয়। চক্কর লাগানো আরম্ভ হবে সাফা থেকে আর শেষ হবে মারওয়ায়। (দারাকুতনি : ২৬১৫, মুসলিম : ২১৩৭)
♦ যথা সময়ে ‘রমি’ করা (শয়তানকে পাথর মারা) । (মুসলিম : ২২৮৬)
♦ তামাত্তু ও কিরান হজকারীগণ দমে শোকর তথা হজের কোরবানি করা।
♦ হারাম শরিফে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (মুসলিম : ২২৯৮, বুখারি : ১৬১৩)
♦ মক্কাবাসী ছাড় অন্যরা তাওয়াফে সদর তথা তাওয়াফে ‘বিদা’ করা। (মুসলিম : ২৩৫০)
এই ছয়টি হলো হজের ওয়াজিব। হজের আমলসমূহে আরো কিছু ওয়াজিব রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ।
♦ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে তাওয়াফে জিয়ারত (ফরজ তাওয়াফ) সম্পন্ন করা। (মুসলিম, হাদিস : ২৩০৭, সুনানে কুবরা : ৯৯২৮)
♦ সূর্য হেলার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা। (মুসলিম)
♦ তাওয়াফ অবস্থায় অজু বা গোসল ফরজ হয়, এমন অবস্থা থেকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। (নাসায়ি, হাদিস : ২৮৭৩, মুসলিম : ২১৭৩)
♦ প্রত্যেক তাওয়াফের পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। (বুখারি : ১৫১১)
♦ কিরান ও তামাত্তু হজকারী ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনটি কাজ করা—এক. রমি, দুই. কোরবানি ও তিন. হলক করা। (সহিহ মুসলিম : ১৯৮, উমদাতুল কারী : ১০/৫৮)
♦ সতর ঢাকা। (বুখারি)
♦ তাওয়াফের সূচনা হজরে আসওয়াদ থেকে করা। (দারাকুতনি : ২/২৮৯; মুসলিম : ৮/১৭৪)
হজের সুন্নাতসমূহ
♦ ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা এবং শরীরে খোশবু মাখা। (তিরমিজি : ৭৬০, মুসলিম : ৮/১০১)
♦ নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম (মুসানাদে আহমদ : ৪৮৯৯, তিরমিজি : ৯১৫, ২৭২৩)
♦ ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। (মুসলিম : ২০৩১)
♦ বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (মুসলিম : ২২৪৬)
♦ মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান আদায় করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (মুসলিম : ২১৩৯)
♦ মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (তিরমিজি : ৭৯৪)
♦ ইজতিবা করা অর্থাৎ তাওয়াফ আরম্ভ করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অন্য দিক বাম কাঁধের ওপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (তিরমিজি : ৭৮৭)
♦ তাওয়াফের সময় ‘রমল’ করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা এবং উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (বুখারি : ১৫০১)।
উল্লেখ্য, ‘রমল’ ও ‘ইজতিবা’ ওই তাওয়াফে সুন্নাত, যে তাওয়াফের পর সাঈ করা হয়।
♦ সাঈ করার সময় উভয় মিলাইনে আখজারাইনের (সবুজ বাতি) মধ্যখানে জোরে হাঁটা। এটা পুরুষদের জন্য। (মুসলিম : ২১৩৭)
♦ তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়া। চুমু দেওয়া সম্ভব না হলে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাত উঁচিয়ে ইশারা করে হাতে চুমু দেওয়া। (আবু দাউদ : ১৬০০, বুখারি : ১৫০৬, ১৫০৭)
♦ কোরবানির দিনসমূহে মিনায় রাত যাপন করা। (আবু দাউদ : ১৬৮৩)
হজে কিরান আদায়ের পদ্ধতি
কিরান হজকারীদের জন্য অর্থাৎ মাঝখানে হালাল না হয়ে একই ইহরামে যাঁরা হজ ও ওমরাহ পালন করবেন, তাঁদের মিকাত অতিক্রমের আগেই একসঙ্গে হজ ও ওমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা ফরজ। আর মক্কা শরিফ পৌঁছে ওমরাহ তথা তাওয়াফ করা, দুই রাকআত নামাজ পড়া, ‘সাঈ’ করা অতঃপর ইহরাম অবস্থায়ই থাকতে হবে। সম্ভব হলে এ সময় তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ করা সুন্নাত।
আগের ইহরামেই ৮ তারিখ জোহরের আগে মিনায় পৌঁছে যেতে হবে। আর বাকি দিনগুলোতে অর্থাৎ জিলহজের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ হজে তামাত্তু-এ উল্লিখিত নিয়মে করণীয়গুলো পালন করতে হবে।
হজে ইফরাদ আদায়ের পদ্ধতি
ইফরাদ হজকারীদের জন্য অর্থাৎ যাঁরা ওমরাহ ছাড়া কেবল হজের জন্য মক্কায় গমন করবেন, তাঁরা মিকাত অতিক্রমের আগেই শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ফরজ এবং মক্কা শরিফ পৌঁছে কেবল তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ করা সুন্নাত। এ ছাড়া তাঁরা জিলহজের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ তারিখ হজের বাকি কাজগুলো হজে কিরান ও তামাত্তুর নিয়মে পালন করবেন। তবে কোরবানি করতে হবে না। কেননা ইফরাদ হজকারীদের জন্য কোরবানি নেই। এমনকি মক্কা শরিফ পৌঁছে তাওয়াফে কুদুমের পর ‘সাঈ’ করে থাকলে তাওয়াফে জিয়ারতের পর ‘সাঈ’ও করতে হবে না।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
4Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার