বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা নেই: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
১১ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৩১
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হাইকমিশনার। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।
অ্যালিসন ব্লেক বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি চমৎকার ও ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাই। বাংলাদেশে নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ করতে চাই। তাই ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
হাইকমিশনার বলেন,বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় তারা সন্তুষ্ট। একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সেখানে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার তাদের ওই প্রতিষ্ঠানকে যে সহযোগিতা করছে তাতে তারা সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান হাইকমিশনার।
বৈঠক প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য আগের মতোই চালানোর আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া, তারা বাংলাদেশের নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর সঙ্গে পায়রা বন্দরের রেল লাইন স্থাপন করতে আগ্রহী। তবে সেখানে মিটার গেজ না ডুয়েল গেজ রেল লাইন স্থাপন হবে সেটা নৌ মন্ত্রণালয় ও রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চূড়ান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত যাই হোক, পায়রা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত রেল সংযোগ ও পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজে ব্রিটেন যুক্ত হতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশ সরকারের গ্রহণ করা বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্রিটেন সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারপরও আমরা জানিয়েছি যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা যদি বাংলাদেশে আসেন তবে তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
ব্রিটেন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে কেন আগ্রহ দেখাচ্ছে-এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে তারা ভূমিকা রাখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যেখানে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেছে, সেখানে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক জাতির সঙ্গে প্রহসন ছাড়া আরও কিছুই না।
জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক এমাজউদ্নি আহমেদ ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, তারা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়।
বিদেশি হত্যার বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, উদ্বেগ সৃষ্টি করার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়েছে। ফ্রান্স, জার্মান, যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো উদ্বেগের বিষয়। সে কারণে বিদেশিরা ধরেই নিয়েছে এটা বৈশ্বিক ইস্যু। তবে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যেভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্য হয়েছে পৃথিবীর কোথাও এমন হয়নি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন