কেরির সঙ্গে খোলাখুলি ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৯ আগস্ট ২০১৬, ২০:১৪
ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০১৬ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী আজ বলেছেন, সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বাংলাদেশের সিনিয়র মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জঙ্গিবাদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে খোলাখুলি ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এক ব্রিফিংয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমরা খুবই খোলাখুলি আলোচনা করেছি, এটা ছিল একটি ফলপ্রসূ আলোচনা।’
এ সময় আলীর পাশে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
আলী বলেন, আলোচনায় বেশি প্রাধান্য পায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সহযোগিতার বিষয়টি। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, এই ব্রিফিং বিস্তারিত বলার উপযোগী সময় নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসব বিষয় ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করা হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চলমান অভিযানের খুবই প্রশংসা করেছেন কেরি। এ ব্যাপারে কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স পলিসি’-এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে জন কেরি আমাদের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছেন।’
আলোচনায় বাংলাদেশ পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার বিষয়টি উঠেছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী ইতিবাচক জবাব দেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে…… আমরা বলেছি যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের সুবিধা দিতে হবে। তিনি এই অনুরোধ বিবেচনা করতে সম্মত হন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, তৎকালীন ডেমোক্রেট দলীয় মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির অনুসারী হওয়ায় জন কেরিও অন্য অনেক সিনেটর, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়ার পাশাপাশি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন। যদিও তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন ‘আমাদের স্বাধীনতা’র বিরোধী ছিল।
আলী বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন দেয়ায় আমরা তাদের (মার্কিন নাগরিক) বেশ কয়েকজনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়েছি।’
বৈঠকের পর মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।