৯,৪৮৪ জন নার্স নিয়োগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঈদ উপহার’ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৯:৩৬
ঢাকা, ৬সেপ্টেম্বর, ২০১৬ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ বলেছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯ হাজার ৪৮৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ দেশের জনগণ ও বেকার নার্সদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঈদ উপহার’।
তিনি বলেন, এ নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের পথে দীর্ঘদিনের অন্তরায় নার্স সংকট সমাধানের পথ উন্মোচিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে তাদের দ্রুত পদায়ন করে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে সরকার।
আজ সচিবালয়ে নার্স নিয়োগ ও চিকিৎসকদের পদোন্নতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
৫০০ জন চিকিৎসককে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে দেশের ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে পদায়ন করা হবে। তাদেরকে কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় কর্মস্থল থেকে তাদের প্রত্যাহার করা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নার্সদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন ও হুমকির মধ্যেও মানবসেবার মনোবৃত্তি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তারাই প্রকৃত সেবক। যারা পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগের আন্দোলন করে নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিল তারা আজ উপলব্ধি করছে তারা ভুল করেছে।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের আশ্বাসের উপর তাদের আস্থা রাখা উচিত ছিল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের বিধান অনুযায়ী পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নার্সদের দাবিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ অনুযায়ী পিএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করেছে, পরীক্ষার ধাপ কমিয়েছে।
এক সঙ্গে প্রায় ১০ হাজার নার্স নিয়োগকে বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী সরকার বেকার নার্সদের প্রতি দেয়া অঙ্গীকার রক্ষা করেছে।
এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ ওয়াহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।