প্রচ্ছদ

বাবার সম্মাননা ট্রুডোর হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৩৯

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

imageঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানিয়েছিল কানাডা। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডো।
অসামান্য সেই অবদানের জন্য ২০১২ সালে পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডোকে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’-য় ভূষিত করা হয়। দীর্ঘদিন পর বাবার সম্মাননা পুরস্কারটি জাস্টিন ট্রুডোর হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
মন্ট্রিয়লে পঞ্চম বৈশ্বিক তহবিল পুনর্গঠন সম্মেলনে যোগদানের জন্য বর্তমানে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্মাননা হস্তান্তরের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় বলেন, মহান মুক্তির সংগ্রামের দিনগুলোতে বিশ্বের গুটিকয় বিশ্বনেতা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ট্রুডো ছিলেন তাদের অন্যতম।
“পিয়েরে ট্রুডো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেছেন. আর কানাডা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের একটি, এসময় স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের পক্ষে পিয়েরে ট্রুডোর সরাসরি অবস্থান গ্রহণের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এসময় কানাডার সকল নাগরিকের সুখী আনন্দময় জীবন প্রত্যাশা করেন। এবং জাস্টিন ট্রুডোর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তিনি আরও প্রত্যাশা করেন দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বের সম্পর্ক দিনে দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে  শেখ হাসিনা ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়লের হায়াত রিজেন্সিতে অনুষ্ঠেয় রিপ্লেসমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে বিকেলে একই হোটেলে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লেজিং মোমেন্টের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেন তিনি।
হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিয়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব তহবিলের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
একই দিনে ‘রিমোভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এম্পাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-১ এবং ‘এনগেজিং অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-২-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্ন ভোজেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও মিলিত হবেন শেখ হাসিনা। তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বিশ্ব তহবিল ও গ্লোবাল সিটিজেন আয়োজিত কনসার্টেও অংশ নেবেন।
শেখ হাসিনা ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে (মন্ট্রিয়ল সময়) এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে মন্ট্রিয়ল ত্যাগ করবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেবেন।
নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি সম্পন্ন করে ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার