দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির আইন হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৪৮
সংসদ ভবন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (বাসস) : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে।
তিনি গতকাল সংসদে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে পরিবার প্রতি ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালকদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হবে। এই আইনটি শিগগিরই সংসদে উত্থাপন করা হবে।
জাতীয় পার্টির অপর সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২২৭টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কের ৬৮টি ব্লাক স্পটস-এর প্রতিকারমূলক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৫টি ব্লাক স্পটস-এ প্রতিকারমূলক কাজ শুরু করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৪৪টি ব্লাক স্পটস এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ইম্প্রুভমেন্ট অব রোড সেফটি এ্যাট ব্ল্যাক স্পটস অন ন্যাশনাল হাইওয়েজ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ব্লাক স্পটের প্রতিকারমূলক কাজ করা হয়েছে। চলমান ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অবশিষ্ট ৭০টি ব্লাক স্পটের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে ধীরগতি যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ১ হাজার ৭৫২ কিলোমিটার মহাসড়কের ফিজিভিলিটি স্টাডি ও ডিটেইল্ড ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। আরো ৬শ’ কিলোমিটার সড়ক ধীরগতি যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ফিজিভিলিটি স্টাডি ও ডিটেইল্ড ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭২ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে ট্রাফিক আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক শ্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন প্রকার ১৪ লাখ ৯৬ হাজার লিফলেট এবং ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫শ’টি স্টিকার গাড়িচালক, যাত্রী, পথচারী ও সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।