মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা
১৭ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৩৩
ভারতের পর্যটন শহর গোয়ায় শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস-এর অষ্টম শীর্ষ সম্মেলন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, ও সাউথ আফ্রিকার জোট ব্রিকস। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরই বসবাস এই দেশগুলোতে। বাংলাদেশ এই অর্থনৈতিক জোটের সদস্য না হলেও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ নেতা হিসেবে দেশরত্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ পাচ্ছেন ব্রিকস সম্মেলন আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণ করার।
ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান করা ছাড়াও দেশরত্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন “বিমসটেক লিডারস রিট্রিট” সম্মেলনে। বিমসটেক হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের অর্থনৈতিক জোট। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার এই বিমসটেকের সদস্য।
এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কানেকটিভিটিকে, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মহসেন আলী বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়াতে ভারত, নেপাল, ভুটান মিলে যে সংযোগ গড়ে তুলেছে, এবার বিমসটেকের মাধ্যমে তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।” সম্মেলনের আয়োজক ভারতও বলছে, “বাংলাদেশের সাথে তাদের কানেকটিভিটি অচিরেই এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই মায়ানমারও এই যোগাযোগের ব্যাপ্তিতে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে।”
১৯৬৫ সালের আগে ভারতের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের যে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল, তাঁর সবগুলোই প্রায় একে একে চালু করা হচ্ছে। নদীপথ ইতিমধ্যে কাজ করছে ও আগরতলা আখাউড়া রেলপথও চালু হবার অপেক্ষায়। এর মধ্যে মায়ানমার হয়ে কালাদান মাল্টিমোডাম ট্রানজিট রুটের কাজও ঝড়ের গতিতে এগুচ্ছে। এসব প্রকল্পে অর্থায়নে সময় লেগেছে কিন্তু ২০১৮/২০১৯ এর মধ্যে সবগুলোই বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ মায়ানমার কিংবা ভারত মায়ানমার সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এতদিন যেন একটা অদৃশ্য বাধার প্রাচীর ছিল। যে কোন আন্তর্জাতিক সড়ক তৈরির প্রস্তাব এখানে এসে আটকে যেত। কিন্তু দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর বিচক্ষণ নেতৃত্বে গড়ে উঠা বিমসটেক সেই প্রাচীর ভাঙ্গার চমৎকার এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনা BBIN এর ইনিসিয়েটর। BBIN হলো বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল। BBIN এবং বিমসটেককে একসাথে করতে পারলে মায়ানমারকেও এই BBIN এর মাঝে অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব। তখন মায়ানমার থেকে থাইল্যান্ড, থাইল্যান্ড থেকে অন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আমাদের কানেকটিভিটি হবে।
বিচক্ষণ নেত্রী ও মানননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য বিচক্ষণ নেতৃত্ব অবকাঠামোগত ও ডিজিটাল কানেকটিভিটির জন্য স্ক্রিয় তৎপরতা চালাচ্ছে।
কানেকটিভিটি এমন একটি অবকাঠামো যেটা যে কোন অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখে। কানেকটিভিটি বলতে এখানে নতুন রাস্তা, নতুন সেতুর কথাই বলা হচ্ছে না, একটা দেশ থেকে আরেক দেশের পণ্য ও জনপদের অবাধ যাতায়াতের অঙ্গীকারও সেখানে নিহিত আছে।
এসব সম্মেলনে যোগ দেওয়া ছাড়াও দেশরত্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বৈঠক হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে ভারতের সাথে বিভিন্ন অমিমাংসিত ইস্যু কিভাবে নিষ্পন্ন করা যায়, সেই বিষয়গুলোর উপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দেবেন। বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টন ও সন্ত্রাস দমনে দুই দেশের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাধান্য পেতে পারে। দেশরত্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক হবার সম্ভাবনা রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথেও। এছাড়া নেপাল, ভুটার ও থাইল্যান্ডের সরকারপ্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এভাবেই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার শক্তিশালী, বলিষ্ঠ, দূরদর্শী, সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।