বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হলো সাবমেরিন
১৫ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৪৮
চীন থেকে সংগ্রহকৃত দু’টি সাবমেরিন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক নৌ শক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
সোমবার চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি-এর নিকট সাবমেরিন দু’টি হস্তান্তর করেন রিয়ার এডমিরাল লিউ জিঝু।
এ সময় চীনা এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাবমেরিন দুটির নাম দেয়া হয়েছে ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’।
সাবমেরিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, চীন থেকে দুটি সাবমেরিন সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করলো। তিনি এই সাবমেরিন দুটির নতুন ভাবে সজ্জিতকরণ এবং ক্রুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য চীনা নৌবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার নৌবাহিনীকে আধুনিক, ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নৌবাহিনীর উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য প্রস্তুতকৃত এই কনভেনশনাল সাবমেরিন দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন যার প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭ দশমিক ৬ মিটার। সাবমেরিনসমূহ টর্পেডো ও মাইন দ্বারা সু-সজ্জিত যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে আক্রমণ করতে সক্ষম।
সাবমেরিন দু’টি বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে দুইদেশের নৌবাহিনীর অফিসার ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ০৩৫ জি ক্লাসের সাবমেরিন দুটি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে এবং আগামী বছরের শুরুতে বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ নামে নৌ বহরে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাসস
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন