সিলেটের জেলা প্রশাসকের অনন্য মানবিকতা
২৬ নভেম্বর ২০১৬, ০৯:৩৩
সিএনজি অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলো মেয়েটি। চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ গাড়িটির সম্মুখের চাকা খুলে গেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি সড়কের পাশে দুর্ঘটনা কবলিত হয়। গাড়িটির নিচে চাপা পড়ে বাঁচার আশায় চিৎকার করছিলো আহত মেয়েটি। মেয়েটিকে উদ্ধারে আশেপাশে তখন কোন লোকজন ছিলো না। সড়ক দিয়ে অনেক যানবাহন চলাচল করলেও কেউ থামছিলো না। ঠিক সেই সময় সড়ক দিয়ে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় যাচ্ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদিন । গাড়ি থেকে নেমে দুর্ঘটনায় আহত কলেজছাত্রীটিকে উদ্ধার করে নিজ গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি। জেলা প্রশাসক নিজেই মেয়েটির অভিভাবকদের কাছে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি অবহিত করেন। বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট-মৌলভীবাজার সড়কের দক্ষিণ সুরমার হাজীগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহত কলেজ ছাত্রীর নাম প্রিয়াংকা দাস। সে সিলেট এম.সি কলেজের বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে বালাগঞ্জ উপজেলার কায়স্থঘাট চক গ্রামের গবিন্দ দাসের কন্যা। খবর পেয়ে মেয়েটির অভিভাবকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন।
আহত প্রিয়াংকা দাস বলেন, গাড়ির চাপায় প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছিলো। হঠাৎ দেখি কয়েকজন মিলে আমাকে গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করছেন। আমার নাম, ঠিকানা জিজ্ঞেস করার পর আমাকে গাড়ি তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারি উনি সিলেটের ডিসি স্যার।
আহত প্রিয়াংকার পিতা গবিন্দ দাস বলেন, মানুষের বিপদে কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় তা চোখে আঙ্গুঁল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আমাদের সিলেটের জেলা প্রশাসক। মানুষের মধ্যে মানবতা জাগ্রত থাকলে এত হানাহানি থাকতো না।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন