প্রচ্ছদ

আওয়ামীলীগ সরকারের ০৮ বৎসর উন্নয়নে পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন শুণ্য থেকে শিখরে-জুনায়েদ আহমদ মঞ্জু

১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:১৩

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

একজন সৎ নির্লোভ জনদরদী নেতৃত্ব যদি কোন এলাকায় থাকে তাহলে অসম্ভবকে দূরে ঠেলে দিয়ে সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে সামান্যতম বেগপেতে হয়না তার প্রমান জননেতা “মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি”
একটি অবহেলিত ভাটির জনপদ বলে আমাদের ইউনিয়নের পরিচিতি সর্বত্র সেই জনপদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে সকল ভয়কে জয় করে সর্ব প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এই ইউনিয়নের উন্নয়নে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কথা দিয়ে নয় কাজের মাধ্যমে জনগনের হৃদয়ে তিনি থাকতে চান।
আজ পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে যে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে যা স্বাধীনতা পরবর্তী কোন সরকারের আমলেই হয়নি। যে দিকে থাকাবেন ইউনিয়নের সর্বত্র “মাহমুূদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির উন্নয়নের জাদুর পরশ আপনাকে বিমোহিত করবে।
আজ পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত পূর্ব নেই পশ্চিম নেই চারিদিকে বিদ্যুৎ যা কল্পনাকেও হার মানাবে ইউনিয়নের এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে বিদ্যুতের খুটি গিয়ে পৌছেনি আগামী এক বৎসরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সমাপ্ত হবে অত্র ইউনিয়নে যা আমাদের নেতা ঘোষনা দিয়েছেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা যদি বলি তাহলে একটু পিছনের ইতিহাস বলতে হয়,
বিগত জোট সরকারের আমলে আমাদের এলাকার প্রভাবশালী এমপি ( কাজে নয় কথায়) ছিলেন যিনি তিনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি আপনাদের ইউনিয়নের উন্নয়নের দায়িত্ব কাধে তুলে নিব, মানুষ আশায় বুক বেধে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল কিন্তু নির্বাচনের পর যেই লাউ সেই কদু উপহার দিয়েছিলেন সেই আলোচিত জনপ্রতিনিধি!
তিনির কাছে ইউনিয়নের একটি মাত্র রাস্তার দাবি নিয়ে তার নিজদলীয় লোকজন গিয়েছিলেন রাস্তার দাবি শুনে সেই এমপি সাহেবের মন্তব্য ছিল, এক লুগ্গি পানির নিচ দিয়ে রাস্তা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়! এই কথা শুনে তার দলের লোকজনও সেদিন লজ্জা পেয়েছিল আর জনগণ হয়েছিল আশাহত।
সেই লজ্জিত আর আশাহত মানুষগুলোর ত্রাতাহয়ে পরবর্তীতে এই এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করলো শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত হাতিয়ার জননেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হবার পর আমরা যখন তিনির কাছে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে দাবী তুললাম তখন নেতার সরল স্বীকারোক্তি ছিল আমি প্রতিশ্রুতির রাজনীতি করিনা আমি কাজে বিশ্বাসী,
সেই বিশ্বাসী জননেতা তার কাজের প্রমান দিলেন অসম্ভবকে জয় করে, আজ পশ্চিম গৌরীপুরের মানুষ এক লুগ্গি পানির নিচের রাস্তা দিয়ে আজিজপুর- বাংলা বাজার গাড়ী হাকিয়ে যাচ্ছেন।
প্রিয় ইউনিয়নবাসী,
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, পশ্চিম গৌরীপুরের উন্নয়নে কতটা আপোষহীন তার ব্যাপকতা নিয়ে আজকের এই লিখা।
বিদ্যুৎ আর আজিজপুর- বাংলাবাজার রাস্তার ফিরিস্তি দিয়ে শেষ নয়, আপনাদের অবগতি আর নিন্দুকদের সামনে তা পরিস্কার করার জন্য আমার এই প্রয়াস।
পশ্চিম গৌরীপুরের সুশম উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে ওসমানীগঞ্জ বাজার টু বাংলাবাজার রাস্তায় প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ০২ কি: মি: রাস্তা পাকাকরনের কাজ সম্পন্ন প্রায় একই রাস্তায় আরো ৩ কি: মি: মাটি কাটার কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে মৈশাসী-বাংলা বাজার রাস্তায় ১ কি: মি: পাকা করনের কাজ চলমান আবার একই রাস্তায় মুল্লাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ০৩ কি: মি: রাস্তা পাকাকরনের টেন্ডার ও প্রক্রিয়াধীন। ইতিপূর্বে আজিজপুর পাকা রাস্তা হতে বনগাঁও মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তার পাকাকরনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নলজুড় পাকা রাস্তাহতে শারসপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তায় ইট সলিংএর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বাকীটা প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে গ্রামীন জনপথের বিভিন্ন রাস্তায় টিআর কাবিখা দ্বারা অসংখ্য রাস্তা নির্মান ও সংস্কার করা হয়েছে যা অথিতে কোন সরকারের আমলে হয়নি।
প্রিয় এলাকাবাসী,
যোগাযোগ ব্যবস্থার এহেন উন্নয়নকে আরো সৌন্দর্য্য মন্ডিত করে তুলেন মাননীয় সংসদ জননেতা মাহমুূদ উস সামাদ চৌধুরী অসংখ্য ব্রীজ কালভার্ট নির্মান করে,
যার মধ্যে অন্যতম হল দনারাম বাজার হতে বেতরী নদীর উপর ব্রীজ নির্মান, যে ব্রীজ-দুটি থানার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একই সুতোয় বেধেফেলে যার ফলশ্রুতিতে পশ্চিম ও পূর্ব গৌরীপুরের যোগাযোগ সহজতর হয়ে যায়। আাতাশন মুন্সিবাজারের উত্তরের খালে ব্রীজ নির্মান করে কলুম পুর গ্রামবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেন মাননীয় সাংসদ।
বাংলাবাজারের পশ্চিমের খালের উপর ব্রীজ নির্মান করে এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের কাংখীত কাজটির সফল বাস্তবায়নের কারনে আজ বাংলাবাজার পর্যন্ত গাড়ীর যাতায়াত সহজ হয়। আরো অসংখ্য ব্রীজ কালভার্ট নির্মানের প্রক্রিয়া চলমান, যার মধ্য বাংলাবাজারের কাছে বেতরী নদীর উপর ব্রীজ নির্মান ও টলাখালের উপর ব্রীজ নির্মান উল্লেখ যোগ্য যা শীঘ্রই বাস্তয়ন হবে।
প্রিয় ইউনিয়নবাসী,
এ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির সাফল্য আরো ঈর্ষনীয়,
আতাসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান, আগলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান, আজিজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান, আজিজপুর উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মান করে এ এলাকার মানুষের মনে আজীবন শ্রদ্ধার আসনে আসিন হয়ে যান প্রিয় নেতা প্রিয় অভিভাবক।
প্রিয় এলাকাবাসী,
মাহমুূদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির উন্নয়নের সাফল্যের স্বাক্ষর প্রতিটি বিভাগেই বিরাজমান যার আরেকটি উদাহরন হল প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের দৃষ্টি নন্দন নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান।
স্বাস্থ্যসেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে নির্মান করেদেন গৌরীপুর গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়নের গরীব অসহায় প্রায় ২ শতাধিক পরিবারে বিনামূল্যে পৌছে দেন সৌর বিদ্যুৎ। এলাকার এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির উন্নয়ন পৌছেনি।
প্রিয় ইউনিয়নবাসী,
স্বাধীনতা পরবর্তী সকল সরকারের উন্নয়ন আর বিগত ০৮ বৎসরে জননেতা মাহমুূদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির উন্নয়ন কে যদি আপনারা তুলনা করেন তাহলে যে কোন বিচারেই এমপি মহোদয়ের উন্নয়ন সবার উপরে হবে যা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি।
তার পরও যখন দেখি আমার ইউনিয়নের কিছু পশ্চাদপদ ব্যক্তি উন্নয়ন নিয়ে বাকা কথা বলেন তাদের উদ্যেশ্যে বলতে চাই যেটুকু উন্নয়ন আমরা করিয়েছি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অত্র ইউনিয়নে, সম পরিমান উন্নয়ন কি আগামী বিশ বৎসরে আপনারা করে দেখাতে পারবেন?
পারলে আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে বলুন আমরা উন্নয়নের স্বার্থে আপনাদের পাশে থাকবো,
নতুবা আমাদের সাথে থাকুন পাশে বসুন অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিতে সহযোগীতা করুন, এ ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্টান আমাদের সকলের-সকলের সহযোগীতায় আধুনিক পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন গড়ার সংগ্রামে জননেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে এগিয়ে আসুন।
আমরা আপনাদেরকে সমৃদ্ধশালী যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন উপহার দিব ইনশাআল্লাহ্।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা
জয় মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি.

লেখক:-
জুনায়েদ আহমেদ মনজু
সাধারণ সম্পাদক
পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ
বালাগঞ্জ সিলেট।
তাং:-১৭/০১/২০১৭ইং।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার