সরকারি-বিরোধীদলসহ সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:২৪
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধীদলসহ সকলকে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদের ১৪তম ও ২০১৭ সালের প্রথম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্খা বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি তাঁর ১১৪ পৃষ্ঠার ভাষণে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম ও অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, পররাষ্ট্রনীতি, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নারী ও শিশু খাতে উন্নয়ন, ক্রীড়া, যুব উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, অভিবাসীদের উন্নয়ন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জন প্রশাসন খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
ভাষণের শুরুতে তিনি সকল সংসদ সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অমর শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। যাঁদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে একটি সার্বভৌম দেশ ও স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান ও লাল-সবুজ পতাকা অর্জিত হয়েছে। তিনি চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যাঁরা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয় এবং বর্তমান সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়। গত মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’, দিনবদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। -বাসস।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন