প্রচ্ছদ

স্বাস্থ্যকর মস্তিস্কের জন্য খাবার

২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:২৩

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার
ডালিমের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ছবি: সংগৃহীত।

ডালিমের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ছবি: সংগৃহীত।

আমাদের বয়স ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও কমতে থাকে। কিন্তু গবেষণায় জানানো হয়েছে যে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি আপনার মস্তিস্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারেন যদি কিছু ‘স্মার্ট ফুড’ আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকে। চলুন তাহলে জেনে নিই স্বাস্থ্যকর মস্তিস্কের জন্য প্রয়োজনীয় স্মার্ট খাবারগুলোর বিষয়ে।

১। বাদাম এবং বীজ

বাদাম এবং বীজ ভিটামিন ই এর ভালো উৎস। আমেরিকার সান্ডিয়াগোর লা জোলার স্ক্রিপ্স মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্টাফ প্রেট বলেন, উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই গ্রহণ মস্তিষ্কের দক্ষতা হ্রাস পাওয়া কমায়। দিনে ১ আউন্স বাদাম যেমন- আখরোট, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম এবং বীজ যেমন- মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখির বীজ, তিল বীজ খেতে পারেন।এছাড়াও আনহাইড্রোজেনেটেড বাটার যেমন- পিনাট বাটার, আমন্ড বাটার ইত্যাদি খেতে পারেন।

২। অ্যাভোকাডো

‘ডা. অ্যান টেন স্টেপ ডায়েট: এ সিম্পল প্ল্যান ফর পার্মানেন্ট অয়েট লুজ এন্ড অ্যাম্প: লাইফ লং ভাইটালিটি’ এর লেখক অ্যান কালজ বলেন, মস্তিস্কের উন্নতিতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। অ্যাভোকাডো একটি ফ্যাটি ফল, কিন্তু এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহে অবদান রাখে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহ মানেই স্বাস্থ্যকর মস্তিস্ক’। এছাড়াও অ্যাভোকাডো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যদিও অ্যাভোকাডো উচ্চমাত্রার ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই কালজ প্রতিদিন একটি অ্যাভোকাডোর অর্ধেক বা চারভাগের এক ভাগ অংশ খেতে পরামর্শ দেন।

৩। আস্ত শস্য

ওটমিল, পাউরুটি, বাদামী চালের মত আস্ত শস্যদানা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। প্রেট বলেন, ‘শরীরের প্রতিটা অঙ্গই রক্ত প্রবাহের উপর নির্ভরশীল’।‘কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত প্রবাহের ও উন্নতি ঘটে, এর মধ্যে মস্তিস্ক ও অন্তর্ভুক্ত’। গম বীজে ফাইবার, ভিটামিন ই, এবং কিছু ওমেগা-৩ এস থাকে।কালজ পরামর্শ দেন – আধা কাপ আস্ত শস্যের সিরিয়াল, ১ টুকরো পাউরুটি দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন।

৪। মটরশুঁটি

মটরশুঁটি রক্তে চিনির মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখে। কালজ বলেন, গ্লুকোজ হচ্ছে মস্তিস্কের জ্বালানী। যদিও মস্তিস্ক গ্লুকোজ সংরক্ষণ করতে পারে না, এটি শক্তির ক্রমাগত প্রবাহের উপর নির্ভর করে এবং মটরশুঁটি এটি দিতে পারে’। প্রতিদিন আধা কাপ মটরশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দেন কালজ।

৫। ডালিমের রস

ডালিমের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে মস্তিস্ককে রক্ষা করতে পারে।‘দ্যা বেটার ব্রেইন বুক’ বই এর লেখক এবং বোর্ড সারটিফাইড স্নায়ুবিদ ডেভিড পার্লমুটার বলেন, ‘ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতির ক্ষেত্রে অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে মস্তিস্ক অনেক বেশি সংবেদনশীল’। সাইট্রাস ফল এবং রঙিন সবজিকেও ‘ব্রেইনি ফুড’ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ করেন পার্লমুটার। যেহেতু ডালিমের রসে চিনি থাকে তাই তিনি প্রতিদিন ২ আউন্স পান করার পরামর্শ দেন।

৬। চা

ঠান্ডা অথবা গরম সদ্য তৈরি করা চায়ে পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা মস্তিস্কের শক্তি বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মেজাজ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে।এছাড়াও চায়ে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্ত প্রবাহের উন্নতিতে সাহায্য করে।

৭। ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেটে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং ক্যাফেইন সহ প্রচুর প্রাকৃতিক উদ্দীপক থাকে যা ফোকাস এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং অ্যান্ডোরফিন এর উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে যা মেজাজের উন্নতিতে সাহায্য করে। দিনে আধা আউন্স বা ১ আউন্স ডার্ক চকলেট আপনাকে প্রয়োজনীয় উপকারিতা দেবে। এটি এমন একটি সুপার ফুড যা বেশি খাওয়া উচিৎ নয়। কালজ বলেন, ‘এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে’।

সূত্র : ওয়েব এম ডি

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার