প্রচ্ছদ

“ভাষা আমাদের,ভাষা দিবস বিশ্ববাসীর”-মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:৩৫

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হলে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত হলো।পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা,সংস্কৃতি, কোনো কিছুরই মিল ছিল না।প্রায় এক হাজার মাইল ব্যবধানের পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) দুটি ভূখণ্ডকে এক করা হলো শুধু ধর্মের ভিত্তিতে।ফলে, পাকিস্তান নামক নতুন রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী প্রথমেই বাঙালিকে শোষণ করার কৌশল হিসেবে বাংলা ভাষার ওপর আঘাত হানল।ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন।পরবর্তীকালে এই আন্দোলন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে জন্ম দেয়।বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই আন্দোলন। পুরো পাকিস্তানের মোট জনগোষ্ঠীর ৫৬.৪০% মানুষের মুখের ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বে ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মাত্র ৩.২৭% জনগোষ্ঠীর ভাষা উর্দুকে তাঁরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। শাসকগোষ্ঠী ১৯৪৮ সালে সংখ্যাগনিষ্ঠ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে উর্দুকে ভাষাকেই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করল।বাঙালি বুদ্ধিজীবী সমাজ প্রথমেই প্রতিবাদ মুখর হলো।তাঁরা অন্যায় বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।এভাবেই ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৯৫২ সালে এই আন্দোলন ব্যাপক রূপ লাভ করল।সারা দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে উঠল।পৃথিবীতে ভাষার জন্য প্রথম শহিদ হলেন সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার এবং অনেকে।১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কোর অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে এই দিবস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে।

ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষা দিল,যার প্রেরণায় দীর্ঘ সংগ্রামের পর জন্ম নিল আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি-বাংলাদেশ।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার