প্রচ্ছদ

আখাউড়া-সিলেট রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৯:৫৪

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে আখাউড়া-সিলেট সেকশনের বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরের প্রকল্প। অর্থায়নের অভাবে এই প্রকল্পটির কাজ আটকে ছিলো। এটি নির্মাণে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে চীন। সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) কমার্শিয়াল কনট্রাক্টের জন্য চিঠি দিয়েছে দেশটির দূতাবাস।

রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন জানান, চীনের নিশ্চয়তার পর নেগোসিয়েশন কমিটি গঠন করেছে রেল মন্ত্রণালয়। ব্যয় চূড়ান্তকরণে নেগোসিয়েশনসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি দেখবে ওই কমিটি। একইসঙ্গে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণেও ঋণ দেবে চীন।

চীন দূতাবাস থেকে ইআরডিতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ নির্মাণে ১৮৭৩.১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক এ খাতে ঋণ দেবে ১৭৫৬.০৫ মিলিয়ন ডলার। বাকি ১১৭.০৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) খাত থেকে। রেলপথটি নির্মাণে চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেডকে মনোনীত করা হয়েছে।

রেল সূত্র জানিয়েছে, জিটুজি পদ্ধতিতে ক্রয়বিষয়ক একটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ২৪ জানুয়ারি পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, জিটুজি পদ্ধতিতে মূল্য নিরূপণের জন্য ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/মন্ত্রণালয় সরাসরি প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। ওই কমিটিতে আরও থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, ইআরডি, এনবিআর, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা। কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিব। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়া-সিলেট রেলপথের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শশি কুমার সিংহ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ প্রকল্পের নেগোসিয়েশনের জন্য অতিরিক্ত সচিব আকবর হোসেনকে রাখা হয়েছে কমিটিতে।

কমিটির মূল কাজ হচ্ছে, জিটুজি পদ্ধতিতে কোনো বিদেশি সরকার বা অন্য দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের প্রস্তাবিত দ্রব্য বা সেবা ক্রয় করা সমীচীন কিনা তা বাছাই করা। তা ছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে এই কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মূল্য নির্ধারণ করবে যা বিধি মোতাবেক সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত হবে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার