বিশ্বের শীর্ষ কয়েকজন ক্ষমতাধর নারী
০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:১০

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস সাম্প্রতিক তাদের ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে। ২৯টি দেশ থেকে রাজনীতি, ব্যবসা, টেকনোলজি, মানবহিতৈষীর মতো খাতগুলো থেকে ১০০ জন প্রভাবশালী নারীকে নির্বাচিত করা হয়। লিখেছেন- শামস বিশ্বাস
৩০তম স্থানে শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩০তম অবস্থানে রয়েছেন। গত বছর তার অবস্থান ছিল ৩৬তম। ফোর্বস তাকে ‘লেডি অব ঢাকা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, তিনি রোহিঙ্গা জনগণের সাহায্যের অঙ্গীকার করেন এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের জন্য দুই হাজার একর ভূমি বরাদ্দ করেন, যা মিয়ানমারের অং সান সু চির সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বাংলাদেশের গণহত্যার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বিপুল ব্যয় সত্ত্বেও তার দেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গৌরববোধ করছেন এবং ইতোমধ্যেই তাদের আইডেন্টিফিকেশন কার্ড ও শিশুদের টিকাদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। সাতচল্লিশের দেশভাগের উত্তাল সময়ে জন্ম শেখ হাসিনার। বাংলাদেশের তৃতীয় দফা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বেই শুধু নিয়োজিত নন, তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ; যিনি টানা ৩৬ বছর ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। গত ৩৬ বছরে তার জীবননাশের জন্য কমপক্ষে ২১ বার হামলা হয়েছে। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হয়েছেন। কারাবরণ, কারা নির্যাতন ভোগ, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে চলেছেন সেই ছাত্রজীবন থেকেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় আট মাস বন্দি ছিলেন সপরিবারে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিহত হলে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। সে সময় তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ছয় বছর ভারতে থাকার পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন, ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার, ২০০৮ সালের ১২ জুন মুক্তি এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৪টি আসন লাভ করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সাহসিকতা আর ব্যক্তিত্বের জন্য দেশ-বিদেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন নানা সম্মাননা আর তার চেয়েও বড় সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।
অ্যাঙ্গেলা মেরকেল
ধারাবাহিকভাবে সপ্তমবারের মতো এবং মোট ১২ বার ফোর্বসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ডোরোটেয়া মেরকেল। ছিলেন কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রির গবেষক। দুই জার্মান একিভূত হওয়ার সময় ১৯৯০ সালে নাম লেখান রাজনীতিতে। সেখান থেকে নানা পথ পেরিয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে অর্জন করেন দেশটির সর্বোচ্চ নির্বাহীর পদ। জার্মানের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নির্বাচিত চ্যান্সেলর। ২০০৫ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত সফলভাবে নিজের কাজ চালিয়েও যাচ্ছেন তিনি। গত কয়েক বছরের বেশ কিছু কাজ, বিশেষ করে সিরিয়ার উদ্বাস্তু সমস্যা আর গ্রিসের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে তার কার্যকরী দিকনির্দেশনা বিশ্লেষকদের চোখে পৃথিবীর ক্ষমতাধরদের তালিকায় তিনি এক নম্বর। এই ক্ষমতাধর নারীকে তার অনুসারীরা ডাকেন ‘মাম্মি’ নামে। ব্যক্তিজীবনে সহপাঠী উলরিশ মেরকেলকে বিয়ে করেন। চার বছর পরই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাদের। তবে স্বামী ছেড়ে গেলেও তার পদবিটি রেখেছেন সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে বিয়ে করেন কোয়ান্টাম রসায়নবিদ অধ্যাপক ইওয়াখিম সাওয়ারকে। এ দম্পতি নিঃসন্তান।
তেরেসা মে
ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় ক্ষমতাবান হিসেবে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। গেল বছর ‘ব্রেক্সিট’-এ ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডেভিড ক্যামেরন। তারই স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাংকার তেরেসা মেরি মে। তিনি দেশটির ইতিহাসের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। অক্সফোর্ডের সাবেক শিক্ষার্থী ১৯৯৭ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। ১৯৮২ সালের পর তিনিই ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশিদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বছরের শুরুতে তিনি মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন। যার ভয়ানক ফল আসে, কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। ফলে তাকে ছোট দলের সমর্থন নিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে হয়। ব্যক্তিজীবনে তেরেসা মে বিনিয়োগকারী ব্যাংকার ফিলিপ জন মের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ দম্পতি নিঃসন্তান।
মেলিন্ডা গেটস
মাইক্রোসফট মালিক বিল গেটসের স্ত্রী এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস রয়েছেন ফোর্বসের তালিকায় তৃতীয় ক্ষমতাবান হিসেবে। ১৯৮৭ সালের পর তিনি মাইক্রোসফটে যোগদান করেন। মাইক্রোসফটের বিভিন্ন ধরনের মাল্টিমিডিয়া প্রকল্প হিসেবে পাবলিশার, মাইক্রোসফট বব, এনকার্টা ও এক্সপিডিয়ার উন্নয়নে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অল্প কিছুদিন পরই তিনি সাংসারিক ব্যস্ততার জন্য মাইক্রোসফট ত্যাগ করেন। সে সময় তিনি তথ্য সম্বন্ধীয় বিষয়ের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। তাদের সংসারে জেনিফার ক্যাথরিন গেটস, ররি জন গেটস ও ফোবি অ্যাদেলে গেটস নামে তিন সন্তান রয়েছে। ১৯৯৮ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন গঠন করেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে মানুষের সেবার জন্য। এটি গেটস ফাউন্ডেশন নামেও পরিচিত। সংস্থাটির পক্ষে এ পর্যন্ত দান করেছেন প্রায় বিলিয়ন সাতাশেক। দাতব্যকাজের জন্য দেশ-বিদেশে প্রশংসার পাশাপাশি পেয়েছেন কয়েকটি সম্মানসূচক ডক্টরেট।
শেরিল স্যান্ডবার্গ
ফোর্বসের তালিকায় চতুর্থ ক্ষমতাবান হিসেবে রয়েছেন ফেসবুক সিইও শেরিল কারা স্যান্ডবার্গ। তার অন্যান্য পরিচয় তিনি একজন সক্রিয় কর্মী ও লেখিকা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন তিনি। পরে গুগলের গ্লোবাল অনলাইন সেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০৮ সালে মার্ক জাকারবার্গের আহ্বানে ফেসবুকে যোগ দেন। সে বছর বিশ্বপ্রযুক্তিতে ক্ষমতাবান শীর্ষ ১০ নারীর তালিকায় নাম ওঠে তার। ফেসবুকের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম নারী সদস্য তিনি। ২০১২ সালে তিনি টাইমস ম্যাগাজিনের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের মধ্যে তালিকাভুক্ত হন। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। তার প্রধান অর্থের উৎস হলো ফেসবুক ও অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার। ব্যক্তিজীবনে ব্রেইন ক্রাফের সঙ্গে প্রথবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার পরের বছর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের ১০ বছর পর সার্ভেমানকির সিইও ডেভিড গোল্ডবার্গকে বিয়ে করেন তিনি। তিনি দুই সন্তানের জননী।
মেরি বাররা
ফোর্বসের তালিকায় পঞ্চম ক্ষমতাবান হিসেবে রয়েছেন জেনারেল মোটরসের সিইও মেরি টি. বাররা। প্রায় শতবর্ষ পুরনো জেনারেল মোটরসের ইতিহাসে প্রথম নারী সিইও হিসেবে মেরি বাররাকে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। জেনারেল মোটরসের সঙ্গে মেরির সম্পর্কটা ছোটবেলা থেকেই। বাবা কাজ করতেন এ কোম্পানিতেই। শুধু ফোর্বস নয়, টাইম ও ফরচুন ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে পৃথিবীর ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছেন এই নারী। তার স্বামী প্রকৌশল পরামর্শদাতা এন্থনি ই. বাররা এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
সুসান ওজস্কি
তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছেন ইউটিউবের সিইও সুসান ডি ওজস্কি। ১৯৯৮ সালে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সার্জে ব্রিন তাদের প্রথম অফিস শুরু করেন সুসান ওজস্কিদের ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়ির গ্যারেজে। সুসান ওজস্কিকে বলা হয় ‘বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ এবং ‘গুগলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন’। ১৯৯৯ সালে গুগলের প্রথম মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন। গুগলের বিজ্ঞাপন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন তিনি গুগল বোর্ডকে ইউটিউব কেনার পরামর্শ দেন। ২০১৪ সালে সুসান ওজস্কি হয়ে যান সেই ইউটিউবের প্রধান। ব্যক্তিজীবনে তিনি গুগলের নির্বাহী ডেনিস ট্রপারের স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী।
অ্যাবিগেল জনসন
সপ্তম ক্ষমতাবান হিসেবে রয়েছেন অ্যাবিগেল পিইরেপন্ট ‘অ্যাবি’ জনসন। তার দাদা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড জনসন ১৯৪৫ সালে ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিউচুয়াল ফান্ড প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় মোট সম্পদের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। তার বাবা তৃতীয় এডওয়ার্ড ‘নেদ’ সিইও পদ থেকে অব্যাহতি নিলে অ্যাবিগেল জনসন প্রেসিডেন্ট-সিইওর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে জনসন পারিবার ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক। অ্যাবিগেল জনসন শেয়ার রয়েছে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তার সম্পদের পরিমাণ ১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিমা বিপণন কোম্পানি ফোর্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার জন ম্যাককেইনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং দুই সন্তানের জননী।
ক্রিস্টিন লাগার্দে
ফোর্বস তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দে। আইএমএফের তিনি প্রথম নারীপ্রধান। পেশায় একজন আইনজীবী ক্রিস্টিন লাগার্দে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সংকটসহ বেশ কয়েকটি সংকটপূর্ণ জটিল অবস্থা থেকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে তিনি আইএমএফকে তুলে এনে সঠিকভাবে পরিচালিত করেছেন। প্রথম মেয়াদের তার শক্তিশালী ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে আইএমএফ প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইমেজ সংকটে ভোগা ১৮৮ দেশ নিয়ে গড়া আইএমএফকে বেশ ভালোভাবে গড়ে তুলছেন তিনি। অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ও দক্ষতায় তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ব্যক্তিজীবনে প্রথমবার তিনি আর্থিক বিশ্লেষক উইলফ্রেড লাগার্দের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সংসারে তার দুটি ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয়বার তিনি বিয়ে করেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী আচার গিলমোরকে। বর্তমানে তার ডোমেস্টিক পার্টনার ফরাসি উদ্যোক্তা সাভির গিওকোনটি।