প্রচ্ছদ

ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুজ্জামান

০৫ মার্চ ২০১৯, ১৬:১৫

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। রোববার সকাল ১১ টায় প্রথম কার্যদিবসে সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষীকাবৃন্দ ও কর্মচারীদের সাথে কুশল বিনিময় করে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। ০৩/০৩/১৯ শনিবার দুপুরে কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস উপাধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুজ্জামানের হাতে ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। 

জানা যায়, সৈয়দ নুরুজ্জামান চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন তিনি। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের মরহুম সৈয়দ আরজান আলী ও মরহুমা সৈয়দা আখলাকুন্নেছার ২ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে প্রফেসর সৈয়দ নুরুজ্জামান সবার ছোট। 

এক অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুজ্জামান জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে উপাধ্যক্ষ পদ থাকা সত্বেও দীর্ঘ ৪৫ বছরে কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফেঞ্চুগঞ্জের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি হওয়ার পর এমপি মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্ঠায় ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে বিদায়ী অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষের হাতে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করা সম্ভব হয়েছে। আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফেঞ্চুগঞ্জবাসীর সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুজ্জামান। 

দীর্ঘ ৯ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা বিদায়ী অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস জানান, ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ১ ডিসেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করি। শিক্ষকতা জীবনের ৩৮ বছরের শেষ ৯ বছর জন্মভূমি ফেঞ্চুগঞ্জের সর্র্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে কাজ করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছেন তিনি। ফেঞ্চুগঞ্জের কৃতি সন্তান ও কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি মহোদয়ের নিরলস পরিশ্রমে কলেজ সরকারিকরণ, ৪ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স ও ডিগ্রী পরীক্ষা সেন্টার চালু করা সম্ভব হয়েছে। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে একটি একতলা ভবনের দ্বিতল অংশ নির্মান করা হয়েছে। ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী থেকে এখন আড়াই হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে ফেঞ্চুগঞ্জের সর্র্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজে। গেল বছরের (২০১৮ খ্রিস্টাব্দ) ৮ আগস্ট কলেজ সরকারিকরণের গেজেট হয়েছে, তাই কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের আত্মীকরণসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বিদায়ী অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস। তিনি এমপি আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষীকাবৃন্দ ও ফেঞ্চুগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার