প্রচ্ছদ

ফেঞ্চুগঞ্জে ‘ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষা’ রোগী সনাক্ত’…

১৬ মার্চ ২০২০, ১৮:৪২

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার
  1. নাহিদ সুলতান পাশা :: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রথম ‘ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষা’ রোগে আক্রান্ত বলে ধরা পড়েছেন মাইজগাঁও’র ফারুক কলোনীর মৃত মিছির আলীর ছেলে ৫০ বৎসর বয়সী জিল্লুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়- জিল্লুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে কাশি যন্ত্রণায় ভোগছেন। প্রায় ১৫/২০ দিন আগে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাশি পরীক্ষা করান এবং ‘ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষায় আক্রান্ত ধরা পড়েন।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীর সাথে যোগাযোগ করলে রোগী জিল্লুর রহমান চিকিৎসা নিতে বাধা দেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্যে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী আবজাল হোসেন বলেন- ‘ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষা’ এই রোগের চিকিৎসা ব্যায়বহুল এবং কষ্টসাধ্য! এই ধরনের রোগীর যত ধরনের খরছ হবে সকল খরছ সরকার বহন করে! সাথে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে রোগীকে দেওয়া হয়।

ডাঃ আবজাল বলন- পূর্বে এই রোগের চিকিৎসা ছিলো ২২ মাস। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তিতে ৯মাস চিকিৎসা করা হয়।

(১) যার মধ্যে প্রথম চার মাস ইনস্টেন্সী ফেইস- যেখানে ইঞ্জেকশন ও মুখের খাবার ঔষধ প্রদান করা হয়। (২) কন্টিনিউএশন ফেইস যেটা হচ্ছে- ৫মাস মুখের খাবার ঔষধ প্রদান করা হয়।

এই পুরো চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগীর অনেকগুলো রক্ত পরীক্ষা করা হয়! সে গুলোও সরকার বহন করে। এমতাবস্থায় এই রোগী চিকিৎসাবীহিন থাকলে উক্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যে কেউ জীবাণু ধারা আক্রান্ত হলে তিনিও এমভিআরে টিবি বা ‘ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষা’ রোগী হবেন।

ডাঃ আবজাল আরো বলেন- ব্যাক্তি, সমাজ ও দেশের সার্থে এই রোগীর সাথে চিকিৎসার জন্যে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি চিকিৎসা নিতে অস্মতি জানান! পরে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত রোগীকে জোরপূর্বক ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে রোগীকে সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এমভিআর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার