ফেঞ্চুগঞ্জ-মাইজগাঁও-পালবাড়ি সড়ক সংস্কার নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়
১১ জুলাই ২০২০, ১৮:৫৫
স্টাফ রিপোর্টার:: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় জেগেছে। তবে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ শীত মৌসুমের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করার বিষয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জের প্রধান সড়ক ফেরিঘাট-থানার রোড-মাইজগাঁও-পালবাড়ি সড়কে বিভিন্ন সময় সংস্কার কাজ করা হলেও সড়কে খানাখন্দ দেখা দেয়। খানাখন্দের কারণে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হতো। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রীদের। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বহু প্রত্যাশিত এ সড়কটি সংস্কার কাজ স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেকে) পাস হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পেক্ট্রা লিমিটেড ও ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন যৌথভাবে এ নির্মাণ কাজ করছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী নির্মাণ কাজের মেয়াদ দু’বছর। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে। তবে প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে যে অবস্থা দেখা গেছে, তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যে ফেরিঘাট-ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি সার্কুলার রোডের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় সড়কের এই একাংশ চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে থানার রোড-মাইজগাঁও সড়কে সংস্কার কাজ চলছে। সড়কটি ১২ ফুট চওড়া থেকে বর্ধিত হয়ে ১৮ ফুট চওড়া করা হবে। সড়কের একপাশে নালা ও ওয়াল নির্মাণাধীন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্পটি মূল সড়ক নির্মাণ কাজ শুরুর আগে ওয়াল নির্মাণ করতে হয়। এতে দীর্ঘদিন লেগে যায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে যখন প্রথম দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় তারপর থেকে কয়েকদিন সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল। এছাড়াও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ধীর গতিতে সংস্কার কাজ করছেন। সড়কে ধীর গতিতে সংস্কার কাজ করার কারণে যানবাহন দুটি একসাথে চলাচল করতে পারে না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের।
প্রকল্পটির তদারকিতে থাকা সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল মজিদ চৌধুরী সংস্কার কাজের ধীর গতির কথা স্বীকার করে বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের বন্যায় ফেরিঘাট-ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এর ফলে সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল। বর্ষা মৌসুম শেষে সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ করা হয়। বর্তমানে থানার রোড-মাইজগাঁও সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। এরপর মাইজগাঁও-পালবাড়ি সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে দেড় মাস সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল। আশা করছি, আগামী শীত মৌসুমের মধ্যে সংস্কার কাজ সমাপ্ত করা হবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন