প্রচ্ছদ

এমপি সামাদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় জুড়ি ও সোনাই নদী খননে মিলছে সুফল

১৩ জুলাই ২০২০, ১৪:৩১

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

রুমেল আলী, ফেঞ্চুগঞ্জ:: অকাল বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে সিলেটের হাকালুকি হাওরের ফসল ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের বাড়িঘর রক্ষার জন্য সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে হাওরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত জুড়ি ও সোনাই নদী খননের কাজের মিলছে সুফল। খননের ফলে জুড়ি ও সোনাই নদী ফিরে পেয়েছে তার নাব্যতা। এতে নিরসন হয়েছে জলাবদ্ধতার।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদী সংলগ্ন জুড়ি নদীর মূল মোহনা থেকে ১০ কিলোমিটার ও গোলাপগঞ্জের কালিকৃষ্ণপুরে সোনাই নদীর ৮ কিলোমিটার নদী খনন কাজ ২০১৮ সালের জুন মাসে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। এক বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। পাউবোর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ পেয়েছিল বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিটেড।

খননের পূর্বে জলাবদ্ধতার কারণে অকাল বন্যা দেখা দিত জুড়ি নদী ও হাওর সংলগ্ন গ্রামগুলোতে। জুড়ি নদী ও সোনাই নদী খননের ফলে নদী তার নাব্যতা ফিরে পাওয়ায় অকাল বন্যার হাত থেকে বাঁচতে পারছেন নদী ও হাওরপাড়ের মানুষ।

পাউবোর ম্যাপ অনুযায়ী পানির লেভেল থেকে ৩২ ফুট গভীর ও ১৫০ ফুট প্রস্থ নদীর তলদেশ ড্রেজার দিয়ে খনন করে উত্তোলিত বালু ও পলিমাটি পাইপ দিয়ে ৩০০ মিটার দূরে গ্রামের নিচু এলাকায় ফেলা হয়েছিল। এতে জুড়ি নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি পলিমাটি দিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের দ্বীপ গ্রাম বাঘমারার নিচু এলাকা ভরাট করায় আকস্মিক বন্যার হাত থেকেও গ্রামটি রক্ষা পেয়েছে। হাকালুকি হাওরের বোরো ফসল রক্ষা ও জলাবদ্ধতা রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বড় ধরনের এ প্রকল্প নেওয়ায় হাওর পাড়ের মানুষও খুশি।

বাঘমারা গ্রামের বাসিন্দা ফয়সল আহমদ বলেন, আমাদের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় জুড়ি ও সোনাই নদী খননের কারণে আকস্মিক বন্যা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। এছাড়াও জুড়ি ও সোনাই নদী ফিরে পেয়েছে তার নাব্যতা। প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় এর সুফল মিলছে।

এর আগেও বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে হাকালুকি হাওরের ফসল রক্ষার জন্য ২০১১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) জুড়ি নদীর মূল মোহনায় প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ কিলোমিটার নদী পুনঃখননের প্রকল্প হাতে নেয়। তবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পের কাজ মাত্র ৫০ ভাগ শেষ করেই সংশ্নিষ্ট ঠিকাদার বিল তুলে নিয়ে যান। নদী খননে গাফিলতির কারণে হাওর বাঁচাও-কৃষক বাঁচাও স্লোগান নিয়ে আন্দোলনে নামেন তারা।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার