জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট ১৪৬ রান
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৩:১০
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ঃ প্রথম বারের মতো আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ১৪৬ রান। ক্যারিবিয়ান বোলারদের তোপে পড়ে রবিবার নির্ধারিত ওভারের ২৯ বল আগেই ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ হানতে থাকে ২০০৪ সালের রানার্স আপরা। এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানানোর যথার্থতা প্রমাণ করেছেন ক্যারিবীয় পেসাররা। যুব বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের ভারতকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন জোসেফরা। মাত্র ৪১ রানেই সাজঘরে ফেরেন ভারতের চার ব্যাটসম্যান।
উইন্ডিজের এই উদ্বোধনী বোলার নিজের প্রথম চার ওভারে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে ১৯ বলের মধ্যেই তুলে নেন তিন উইকেট। অল্প কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়লেও ৭ রান করে ফেরেন ওয়াশিংটন ওজনের শিকার হয়ে।
ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এসেছে সরফরাজ খানের ব্যাট থেকে। তিনি ৮৯ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। সরফরাজ ছাড়া মাত্র দুইজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। এরা হলেন মাহিপাল ল্যোমার (১৯) ও রাউল বাথাম (২১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে জোসেফ ৩৯ রান খরচ করে ৩টি ও রায়ান জন ৩৮ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ক্যামো পল ৬.১ ওভার করে ১৭ রান খরচ করে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া হোল্ডার ও স্প্রিঙ্গার প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
গ্রুপ পর্বে জিম্বাবুয়ের কাছে হারতে হারতে ‘বিতর্কিত’ ম্যানক্যাড আউটে নকআউট পর্বে ওঠে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তান এবং সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে রবিবার ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় বারের মতো ফাইনাল খেলছে তারা। অথচ ক্যারিবীয়দের এই দলটি নিয়ে কেউ বিন্দুমাত্রও ভাবেননি তারা এতোদূর আসবে।
বিশ্বকাপের আগেও বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচ সিরিজের সবগুলোই হেরেছে ক্যারিবিয়ানরা। উপমহাদেশীয় কন্ডিশন যেন দুর্বোধ্য এক ধাঁধা হয়ে এসেছিল তাদের কাছে। সেই ধাঁধা খুব সহজেই আয়ত্ত্ব করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবারা।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন