ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতেই উঠলো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:০০
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারতকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জয় করল অনেকটা আন্ডারডগ হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা কিনা কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বিদায় নিতে পারত।
টুর্নামেন্টের আগেই দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ৩-০ তে ধবলধোলাই হওয়া দলটি জিম্বাবুয়েকে নাটকীয়ভাবে ২ রানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে। তারপর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফাইনাল পর্যন্ত এশিয়ার মাটিতেই এশিয়ার তিন ক্রিকেট পরাশক্তিকে (পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারত) কে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে তাদের বিজয় নিশান উড়ালো।
রোববার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বংলা স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের দেয়া ১৪৬ রানের মামুলি টার্গেটে অবশ্য একাবারে নির্বিঘ্নে তুলতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। এক পর্যায়ে ৭৭ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে বোলারদের এনে দেয়া দারুণ সুযোগ নষ্ট করতে বসেছিল তারা। তবে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে কেমো পলকে সাথে নিয়ে কার্টি দায়িত্বশীলতায় পার করে দিলে প্রথমবারের মত যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় ক্যারিবিয়ানরা। তবে এই দুজনের একাধিক ক্যাচ ভারতীয়রা ধরতে পারলে হয়ত ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত।
কেসি কার্টি ৫২ ও কেমো পল ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতকে মিরপুরের সকালের কুয়াশায় দুমড়ে মুছড়ে দেন ক্যারিবিয়ান পেসাররা।
তাদের পেস আর হেমলক বিষ যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা সে বিষ নিজেদের ইচ্ছাতে পান করলেও ভারতের যুবারা টস হেরে তা পান করতে বাধ্য হল। ফাইনালে সে বিষের ঝাঁজও যেন একটু কড়া। সেই ঝাঁজ সইতে না পেরে টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল গুটিয়ে যায় ১৪৫ রানে।
আলজারি জোসেফ, চেমার হোল্ডার, রায়ান জন, শামার স্পিংগার, কেমো পল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে পাঁচজন দ্রুতগতির বোলার মনে করিয়ে দেন স্বর্ণযুগের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। গার্নার, মার্শাল, হোল্ডিং, ওয়ালস, এম্ব্রোসদের উত্তরসূরিরা এখনো কিছুটা ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ যে তারই মহড়া।
ম্যাচ জেতানো ৫২ রান করে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হয়েছেন কেসি কার্টি।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন