ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেনের উড়াল সড়ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৯:০৯
ঢাকার সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের ওপরে হবে একটি চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে।
এ মহাসড়কে ২২০ কিলোমিটার উড়াল সড়ক (এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে অনুমোদিত ৯টি প্রকল্পের মধ্যে উড়াল সড়কেরটিও একটি। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনের ওপর দিয়ে এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে একবারে চট্টগ্রামে গিয়ে নামতে হবে। ২২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের অন্য কোথাও থামা যাবে না। এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে কোনো বিপণিবিতানও থাকবে না।
এদিকে বৈঠকে চলমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে একনেক। চতুর্থ দফায় আরও ৬২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় বেড়ে এ প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় এক বছর বাড়িয়ে হয়েছে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের ওপরে আরও একটি চারলেন হবে। নির্মাণাধীন চারলেনটি ১৯০ কিলোমিটার, তবে এক্সপ্রেসওয়ে আরও একটু বেশি ২২০ কিলোমিটার হবে। এটি নির্মাণের ফলে সড়কপথে খুব কম সময়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াত করা যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, এই দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের মাঝপথে থামার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে থামতে হবে। মহাসড়ক অনেক সময় হকাররা দখল করে ফেলেন। কিন্তু এখানে কারোরই দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
মূল চারলেন ১৯০ কিলোমিটার হলেও এক্সপ্রেসওয়েটির দূরত্ব আরও ৩০ কিলোমিটার বাড়বে। পদ্মা সেতুর মতোই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হতে যাচ্ছে।
পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, আজ যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে এর সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে ৮টি নতুন প্রকল্প ও একটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১২টি ব্যারাক নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার মালিবাগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ৪৫৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পসহ অন্যান্য।
৪ হাজার ৯৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ৪ হাজার ৯শ ৪৫ কোটি ৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন