ফেঞ্চুগঞ্জে মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় দু পক্ষের উত্তেজনা
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৪:৪৫
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিষ দিয়ে মৎস্য খামারে মাছ নিধনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার রোকনপুর গ্রামের দুটি পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার দুটি মৎস্য খামারে দুবৃর্ত্তরা বিষ ঢেলে দিলে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠে। বিষয়টি গ্রাম্য সালিসে সুরাহা না হওয়ায় দু,পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার রোকনপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন জামাল ও মনজ্জির আলী রোকনপুর গ্রামের নিকটবর্তী চাকির বিলের মধ্যেখানে নিজস্ব ভূমি খনন করে দুটি মৎস্য খাবার করেন। একই গ্রামের সজ্জাদ আলী ও নোয়াগাঁও গ্রামের নজির আলী চকির বিল একসনি ইজারা নিয়ে বিলের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছেন।।
গত সোমবার গভীর রাতে জালাল উদ্দিন জামাল ও মনজ্জির আলীর মৎম্য খামারে দুবৃর্ত্তরা বিষ ঢেলে দিলে ছোটবড় কয়েক হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ পানিতে ভেসে উঠে। জালাল উদ্দিন ও মনজ্জির আলীর অভিযোগ, মৎস্য খামার থেকে বিলে মাছ নামাতে সজ্জাদ আলীর পক্ষের লোকজন মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে। মাছ নিধনের ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিষয়টি সুহারা করতে রোকনপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান লালার নেতৃত্বে পঞ্চায়েতের লোকজন উদ্যোগ নিলে সজ্জাদ আলী বিষয়টির সাথে তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে গ্রাম্য সালিসে আসতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজ্জাদ আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন। যে দিন বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটে সেদিন রাতে আমার পিতার মৃত্যু হয়। পিতার লাশকে সামনে রেখে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটনাতে পারেনা। বিষ দিয়ে মৎস্য নিধনের ঘটনাটি জালাল উদ্দিন জামাল ফেঞ্চুগঞ্জ থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এস আই আমির উদ্দিন বলেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সময় নিয়েছেন । আপোষ না হলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।