বাস পেলো মন্ত্রীকে প্রশ্নকারী শিক্ষার্থী
১৪ মার্চ ২০১৬, ১১:২৯
দুর্ভোগর অবসান হয়েছে মন্ত্রীকে প্রশ্নকারী শিক্ষার্থী শতাব্দীর। রোববার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে বাস পেয়েছে সে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে রোববার সকাল ৬টায় রাজধানী শেওড়া বাজারে শতাব্দির অপেক্ষায় ছিল বিআরটিসি বিশাল বাস।
রাজধানীর শহীদ রজিমউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শামসুন নাহার শতাব্দী। অন্য দিনের মতো গত গত শনিবারও স্কুল থেকে ফেরার পথে বাস পায়নি। মেয়ে বলে তাকে বাসে তুলতে রাজি হননি চালক-হেলপার। এ কারণে অন্যদিনের মতো হেটেই বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে পেয়ে যায় মন্ত্রীকে। মন্ত্রী সেনানিবাস এলাকায় গিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরির্দশনে।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। ভিড় ঠেলে তার কাছে যান শতাব্দি। কিন্তু কথা বলার সুযোগ পাচ্ছিল না। তখন সবাইকে অবাক করে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে ‘মিস্টার ওবায়দুল কাদের, আই হ্যাভ এ কোশ্চেন।’ মন্ত্রী তার প্রশ্ন জানতে চাইলে বলে, ‘যখন স্কুলে আসি তখন বাসে উঠি। তিন নম্বর বাসে মহিলাদের জন্য সিট নাই। তারা বলে- আপনাদের উঠতে দেওয়া যাবে না। স্কুলে আসতে দেরি হয়ে যায়, সকাল বেলা। বাসায় যেতেও দেরি হয়। মহিলাদের জন্য কি আলাদা বাসের প্রয়োজন নেই?’ মন্ত্রীর কাছে শতাব্দীর প্রশ্ন ছিল, মেয়ের প্রতি কেনো এই বৈষম্য?
মন্ত্রী তখনই নির্দেশ দেন মেয়েদের স্কুলে আনতে এখন থেকে শেওড়ায় সকালে বাস থাকবে। দুপুরে স্কুল এলাকায় বাস থাকবে তাদের বাসায় পৌঁছে দিতে। মন্ত্রীর নির্দেশে রোববার সকাল থেকেই চালু হয়েছে মহিলা বাস সার্ভিস। শতাব্দীসহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী সেই বাসের যাত্রী হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সরকারের এ উদ্যোগে তারা খুবই খুশি। একই কথা জানাল শতাব্দিও। দার দাবি একটি মেয়েরও যেনো বাসের কারণে স্কুলে আসতে দেরি না হয়।
ওবায়দুল কাদেরও জানালেন এ উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি রোববার সচিবালয়ে বলেন, শেওড়া থেকে বিআরটিসি’র বাস চালু করেছি। স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও মহিলাদের জন্য এই সার্ভিসটি আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন