প্রচ্ছদ

২০২১ সালের মধ্যে ঢাকায় পাতাল রেল

০৩ এপ্রিল ২০১৬, ২৩:২৬

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

223809patal_rel1যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় ২০২১ সালের মধ্যে দুটি পাতাল রেললাইন নির্মাণে একটি প্রস্তাবনা প্রণয়ন করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীতে প্রায় ৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ঢাকা সাবওয়ে (আন্ডার গ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ঢাকা সাবওয়ে (আন্ডার গ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের লক্ষ্যে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য আজ রোববার বনানীর সেতু ভবনে এক সভার আয়োজন করে।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার ও আবু সাঈদ মো. মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয় যে, ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু বিভাগকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ঢাকা শহরের যানজট নিরসন ও গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নে পাতাল রেল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ একটি প্রস্তাবনাও প্রণয়ন করেছে। সভায় প্রস্তাবনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হয়।
ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থায় এলিভেটেড এবং এইট-গ্রেড আকারের রাস্তা নির্মাণে জটিলতার বিষয়গুলো বিবেচনা করে সাবওয়ে নির্মাণ করা সমীচীন বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন ।
প্রস্তাবটিতে আরএসটিপি এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চার লাইনের পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আরএসটিপি এর এমআরটি-১ এবং এমআরটি-২ অ্যালাইনমেন্ট বরাবর দু’টি সাবওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৩২কিলোমিটার’র সাবওয়ে লাইন-১; টঙ্গী হতে শুরু করে এয়ারপোর্ট-কাকলী-মহাখালী-মগবাজার-পল্টন-শাপলা চত্বর হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত হবে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। এটির জন্য সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ২৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অপরদিকে, ১৬ কিলোমিটার সাবওয়ে লাইন-২; আমিনবাজার থেকে শুরু করে গাবতলী-শ্যামলী-আসাদগেট-নিউমার্কেট-টিএসসি-ইত্তেফাক হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত হবে। পরবর্তীতে উভয়দিকে সম্প্রসারিত হবে। সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মোট ৪৮ কিলোমিটার সাবওয়ে দু’টির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় হবে প্রায় ৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে পরবর্তীতে সমীক্ষা সম্পাদনের মাধ্যমে প্রকৃত ব্যয় নিরূপণ করা হবে বলে এ সভায় জানানো হয়।
সভায় সার্ভে বিষয়ক পেপার উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অভ্ টেকনোলজি’র অধ্যাপক ড. হোসেইন মো. শাহীন।
অন্যানের মধ্যে বুয়েটের প্রফেসর শামসুল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদসহ সেতু বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার