দক্ষিণ সুরমায় ইউপি নির্বাচনের বাছাই সম্পন্ন চেয়ারম্যান পদে ৩৭, সাধারণ সদস্য ২৭৯ ও সংরক্ষিত পদে ৫৪ জন প্রার্থী বৈধ, বাতিল ৪
১২ এপ্রিল ২০১৬, ১০:০০
জাহাঙ্গীর আলম মুসিকঃ
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচনে গত ১০ ও ১১ এপ্রিল রবি ও সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৫৪ জন প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১ জনের মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৩৭০ জন।
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ এমদাদুল হকের নিকট কুচাই, মোগলাবাজার ও দাউদপুর, উপজেলা সমাজসেবা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুল মুন্তাকিম, সিলাম ও জালালপুর, উপজেলা কৃষি ও রিটার্নিং অফিসার আবাহন মজুমদার, বরইকান্দি ও লালাবাজার ইউনিয়নের প্রার্থীদের পৃথক পৃথকভাবে যাচাই বাছাই করেন। সাধারণ সদস্য পদে বাতিল তিনজন সদস্যা হলেন লালাবাজার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ফয়জুল হক, দাউদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মশন আহমদ কোরেশী, জালালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুক্তার মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী হেলি আক্তার মৌ।
উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৭ জন আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান বৈধ প্রার্থীরা হলেন- বরইকান্দি ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. রইছ আলী, কুচাইয়ে সিলেট মহানগর যুবলীগের সদস্য জাকিরুল আলম জাকির, সিলামে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইকরাম হোসেন, লালাবাজার ইউপিতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তোয়াজিদুল হক তুহিন, জালালপুরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুর রহমান শাহীন, মোগলাবাজার ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সাইস্তা এবং দাউদপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল হক।
বিএনপির মনোনীত ৭ ইউনিয়নের ৭ জন বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন-বরইকান্দি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হাবীব হোসেন, কুচাই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সিলামে ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, লালাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, জালালপুরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান সাজু, মোগলাবাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সোহেল, দাউদপুর ইউনিয়নের এম এইচ খলিল। এছাড়াও ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী এবং ¯^তন্ত্র বৈধ প্রার্থীরা হলেন-মোগলাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব চুনু মিয়া (স্বতন্ত্র), দাউদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম আলম (স্বতন্ত্র)। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন মোগলাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান টুনু মিয়া (স্বতন্ত্র)। অন্যান্য স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরা হচ্ছেন- দাউদপুর ইউনিয়নে আলাউদ্দিন আলাল, আফতাবুল ইসলাম জবর, মাওলানা শরীফ উদ্দিন ও ছালিক আহমদ। মোগলাবাজার ইউনিয়নে মোঃ মুকিত মিয়া, জাতীয় পার্টির নিমার আলী, জালালপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা সুলাইমান হোসেন (স্বতন্ত্র), কয়েস মিয়া (স্বতন্ত্র), মোঃ ফখরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ন্যাশনাল আওযামী পার্র্টির ইয়াবর বখত চৌধুরী, সিলাম ইউনিয়নে এম কে করিম কাওছার (স্বতন্ত্র), এস এ ফয়সল (স্বতন্ত্র), বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), বরইকানিদ ইউনিয়নে আওলাদ হোসেন (স্বতন্ত্র), শাহ আব্দুল মালিক ওমর (স্বতন্ত্র), রেহান আহমদ হারিছ (স্বতন্ত্র), লালাবাজার ইউনিয়নে মামুনুর রশীদ চৌধুরী (স্বতন্ত্র), পীর মোঃ ফয়জুল হক (স্বতন্ত্র), শহিদুর রহমান (স্বতন্ত্র), নুরুল আমিন আওলাদ (স্বতন্ত্র)।
আগামী ১৮ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও ১৯ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ এবং ৭ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ৭ ইউনিয়নে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬২ হাজার ৩৩ জন, মহিলা ভোটার ৬৩ হাজার ৩৮ জন। ৬৩টি ওয়ার্ড, সংরক্ষিত ২১টি ওয়ার্ড, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৬টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৯০টি। উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে মোল্লারগাঁও, তেতলী, কামাল বাজার ইউনিয়ন আইনী জটিলতার কারণে এক যুগ ধরে এ তিন ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে না। এই তিন ইউনিয়নের জনগণ দীর্ঘদিন যাবত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ফলে এ তিন ইউনিয়নে নির্বাচনী আমেজ নাই।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন