প্রচ্ছদ

পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশরাফকেই চান সবাই

২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৩:৪৮

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

সৈয়দ আশরাফ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ডিসেম্বরে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতির মুখ থেকে সম্মেলনের ঘোষণার পরই পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন, তা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয়েছে জোরালো আলোচনা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেই চান বেশিরভাগ নেতা।

গত ছয় বছরে এ দায়িত্ব পালনে আশরাফকে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হলেও কেন্দ্রীয় নেতারা তাকেই যোগ্য মনে করছেন। তাদের মতে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশরাফের বিকল্প নেই। দুই দফায় দায়িত্ব পালনে সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বস্ততার প্রমাণ রেখেছেন। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি আশরাফকেই ‘ডিমান্ড’ করে বলে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান।

এবার দায়িত্ব পেলে টানা ৩ বার সাধারণ সম্পাদক হবেন সৈয়দ আশরাফ। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাসে যা একটি মাইলফলক হবে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আশরাফকে উপযুক্ত মনে করছেন। বিগত সময়ে আশরাফ যেভাবে ঝঞ্ঝাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলেছেন তা আর কারও পক্ষে সম্ভব নয় বলেও ধারণা তার। তবে সৈয়দ আশরাফ থাকতে না চাইলে বিকল্প দু’জনকে শেখ হাসিনা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভেবে রেখেছেন বলে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে। তাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারণী নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভাপতিমণ্ডলীর দু’জন ও সম্পাদকমণ্ডলীর তিন জন সদস্য এ প্রসঙ্গে বলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো বিশ্বস্ত, বুদ্ধিদৃপ্ত ও মেধাসম্পন্ন নেতা এখনও তৈরি হয়নি। তাই আশরাফের সম্ভাবনাই বেশি। তারা এও বলেন, আওয়ামী লীগে কে পরবর্তী কর্মকর্তা হবেন এটি নির্ভর করে কাউন্সিলরদের ওপর। এর বাইরে শেখ হাসিনারও একটি ইঙ্গিত থাকে।

সৈয়দ আশরাফের ঘনিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আশরাফ আর দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিতে চান না। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে আপত্তি করবেন না। ঘনিষ্টদের মতে, নেতৃত্ব আঁকড়ে থাকলে নেতা তৈরির সুযোগ হয় না। তাই এবার অন্যদের সুযোগ করে দিতে চান তিনি।

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমি মনে করি গত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফ যে গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন তা পালনে তিনি শতভাগ সফল। তিনি বলেন, কে সাধারণ সম্পাদক হবেন এখুনি বলা যাচ্ছে না। তবে আমি মনে করি আশরাফের প্রয়োজনীয়তা এখনও ফুরায়নি। সুরঞ্জিত বলেন, সবকিছু বিবেচনা করলে আশরাফের সম্ভাবনা বেশি।

এ বিষয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আশরাফ দলের প্রতি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন। পরে কে হবেন তা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররাই নির্ধারণ করবেন।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্বপালন করেছেন সৈয়দ আশরাফ। তার মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই।

সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, কে সাধারণ সম্পাদক হবে না হবে সেটি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ও দলীয় সভাপতির ওপর নির্ভর করবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হতে পারেন। তবে অন্য কেউ হলে অবাক হওয়ার কারণ নেই।

বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ।

স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া বলেন ‘হি ইজ এ কনস্ট্রাকটিভ লিডার।’ ক্রাইসিসের সময়গুলো সৈয়দ আশরাফ যেভাবে মোকাবেলা করেন সেটা শুধু তার দ্বারাই সম্ভব। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পরামর্শ ও নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন সৈয়দ আশরাফ। সারাদেশের মানুষের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা আছে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার