প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন জি-৭ আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য জাপান পৌঁছেছেন
২৬ মে ২০১৬, ২১:১৪
শিল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন জি-৭ এর আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য চারদিনের সরকারি সফরে জাপান পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার জাপানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে নাগোয়ার চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। খবর বাসসের
এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমন্ত্রণে নাগোয়া শহরে অনুষ্ঠেয় জি-৭ আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এছাড়াও বিমানবন্দরে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিনসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সিমা কানকো হোটেলে জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ বৈঠকে যোগ দেবেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া জি-৭ আউটরিচ লিডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেবেন এবং সেখানেও বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রী একইদিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মিরথিপালা শ্রিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গেও এদিন তার বৈঠকের কথা রয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিওর উদ্দেশ্যে ট্রেনে নাগোয়া ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি টোকিওতে নবনির্মিত চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে মিলিত হবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা এফবিসিসিআই এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা ‘জেটরো’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের হেনাদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাও পিডিআর (লাওস), ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলংকা এবং চাঁদকে জি-৭ এর আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই আইটরিচ বৈঠক জি-৭ সম্মেলনের অংশ হিসেবে ২৬ এবং ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে।
শিল্পোন্নত জি-৭ গ্রুপের সদস্যরা হচ্ছে— কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রতিনিধিত্ব করছে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন