গুপ্ত হত্যার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে জেগে উঠতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০১৬, ১৭:২২
গুপ্ত হত্যার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকার বসে নেই বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘তারা যখন মানুষ পুড়িয়ে মারছিল তখন দেশবাসী যেভাবে জেগে উঠেছিল; ঠিক সেভাবেই আবার জেগে উঠতে হবে। গুপ্ত হত্যাকারীদের বিষয়ে সমগ্র দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাদের খুঁজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত সবগুলো হত্যার প্রক্রিয়া একই রকম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্নজন এ হত্যার দায় স্বীকার করে। মূল জায়গা কিন্তু একটা। মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী স্লোগান নিয়ে যারা মানুষ হত্যাকে উস্কে দেয়, বর্তমানের গুপ্তহত্যা তাদের কাজ। দেশের অগ্রযাত্রা রুখতেই এই নীলনকশা। এ যাবত যারাই জঙ্গী তৎপরতা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে দুটি রাজনৈতিক দলের সংশ্রব পাওয়া গেছে। তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তখন তারা জনগণের রুদ্ররোষের শিকার হয়েছিল। ফলে এখন তারা মানুষ হত্যার কৌশল পরিবর্তন করেছে। সরকারও বসে নেই। আমাদের যা যা করণীয় আমরা তা করে যাচ্ছি। যারা এ ঘটনা ঘটাচ্ছে আমরা তাদের ধরতে সক্ষম হচ্ছি। বাংলাদেশের উন্নতি যারা চায়নি তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে কোনো অশান্তি নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শেষ বিচার করবেন। আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার ক্ষমতা কারও নেই।। আল্লাহ কাউকে হত্যার অনুমতি দেননি। একজন আরেকজনকে হত্যা করে ইসলামকে কলুষিত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সত্যিকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদেরকে আহ্বান জানাব, তাদের পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী পথে যাচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব তাদের। ধর্মের নামে যারা হত্যা চালায়, তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ অমান্য করে।’
সৌদি আরব সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে বর্তমানে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজ করছেন। আমরা সেখানে আরও লোক পাঠাতে পারবো। যারা সেখানে যাবেন তাদের নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি বাদশাসহ অনেক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমারা তাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি- আমরা তাদের জায়গা দেব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা। আমি তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। বাদশাকে আমি জানিয়েছে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ সামরিক সহায়তা দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব, জাপান ও বুলগেরিয়া সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্যের পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে সেদেশে পাঁচদিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি জাপান ও বুলগেরিয়া সফরে যান।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন