অবশেষে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস
১৯ জুন ২০১৬, ১১:৫০
অবশেষে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস। শিক্ষামন্ত্রীর উদ্বোধনের প্রায় ২ বছর পর আবারো চালু হচ্ছে ছাত্রাবাসটি। ঈদের পরপরই আবাসিক শিক্ষার্থী নিতে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ ও শিবির সংঘর্ষের জেরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো শতবর্ষী এমসি কলেজের ছাত্রাবাস। এতে ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের ৪২টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও ৭০টি কক্ষ। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় নাশকতার কিছুদিনের মধ্যেই পুরোনো আদলে পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয় ছাত্রাবাসের।
পুননির্মাণের পর ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রাবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও হয়। তবে উদ্বোধনের প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এতোদিন ছাত্রাবাসে তোলা হয়নি শিক্ষার্থী।
তবে অতি সম্প্রতি ছাত্রাবাসটি আবার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে গত শনিবার ছাত্রাবাসটি গ্রহণ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এখন ছাত্রাবাসে আবাসিক শিক্ষার্থী নিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে কলেজ অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ জানিয়েছেন।
ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাসের স্থলে পুরনো আদলে ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলী ‘সেমিপাকা আসাম’ কাঠামো নতুন করে ছাত্রাবাস নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর ছাত্রাবাস সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আগুন দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রাবাস পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজে ব্যয় হয় প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রাবাসটির সংস্কার শেষে পুনরায় উদ্বোধন করা হয়।
প্রায় ২০ মাস অব্যবহৃত পড়ে থাকার কারণ সম্পর্কে ছাত্রাবাস নির্মাণ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম বলেন, গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবাসটি চালু করতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি গ্যাস বিল পরিশোধ করায় এটি চালু হচ্ছে।
কলেজ অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ বলেন, শিগগরই ছাত্রাবাসে আবাসিক শিক্ষার্থী নিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষ করে আবাসিক শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ছাত্রাবাসের ছয়টি ব্লকে মোট ২৪৪ জন ছাত্রকে আবাসনের সুযোগ দেওয়া হবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন